শীত পড়তেই অনেকে সর্দিকাশির সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। যারা সকালে ওঠেন, কনকনে ঠান্ডা সাথে কুয়াশার কারণে সর্দিকাশি হওয়া স্বাভাবিক। বাতাসে ভাইরাস ও ব্য়াকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে অসুখ হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তবে কিছু ঘরোয়া টোটকায় আপনি অতি দ্রুত ঠিক হবেন।
সাধারণত সংক্রমণ থেকেই শীতে সর্দি কাশি হয়। আর এই সংক্রমণের বিরুদ্ধেই লড়াই করতে সাহায্য করে আদা। আদার মধ্যে রয়েছে জিঞ্জেরল নামের একটি বিশেষ উৎসেচক। এটি দ্রুত কফ বার করে দেয়। বুকে কফ জমে থাকলে তা বার করেত সাহায্য করে রসুন। দ্রুত শরীর সুস্থ করে তোলে। ফলে বেশি দিন ভোগার কষ্ট আর সহ্য করতে হয় না। সর্দিকাশি কমানোর আরেক মোক্ষম ভেষজ হল তুলসীপাতা। তুলসীপাতা বহুদিন ধরেই সর্দিকাশি কমাতে কার্যকরী। এটি ফুসফুসের কোনও সংক্রমণ থাকলে তাও সারাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন, দেশের সব থেকে নোংরা শহর হাওড়া!
শীতকালে কমলালেবু আপনার ডায়েটে রাখুন রোজ। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এই ভিটামিন সি সর্দি কাশির সমস্যা সহজেই দূর করে। পেঁয়াজের রস সর্দি কাশির মতো সমস্যা দূর করতে দারুণ ওস্তাদ। এটি ফুসফুসের মধ্যে কোনও প্রদাহজনিত জ্বালা হলে তা কমিয়ে দেয়। মধু সর্দিকাশির জন্য খুব উপকারি। আপার রেসপিরেটরি সিনড্রোম কমাতে সাহায্য করে মধু। পাশাপাশি মধুর গুণে কাশির সমস্যা কমে। এমনকি গলায় কোনও সংক্রমণ হলে তাও সেরে যায়। হলুদ দুধের সঙ্গে মিশিয়ে রোজ খেতে পারেন। এটি কোনও প্রদাহজনিত ব্য়থা কমাতে সাহায্য করে। অন্য়দিকে এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল। যা ফুসফুসের সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে। কুমড়োর বীজ জিঙ্কের সমৃদ্ধ উৎস। এটি সর্দিকাশির সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে জরুরি। তাই আপনার রোজকার ডায়েটে রাখতেই পারেন এই বিশেষ বীজটি। সস্তায় পুষ্টিকর খাবার হিসেবে কুমড়োর বীজ সারিয়ে তুলবে আপনার রোগ।
আরও অন্য খবর দেখুন