কলকাতা: হাতে আর মাত্র মেরেকেটে কয়েকটা দিন বাকি রয়েছে। তারপরই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয় মেতে উথবেন সকলেই। উমার আগমনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে, জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। আস্তে আস্তে ব্যস্ততা বাড়ছে কুমোরটুলিতে। গনেশ, বিশ্বকর্মার পর দুর্গা, এই তিন দেব-দেবীর গড়ার কাজ চলছে পটুয়া পাড়ায়। অস্ট্রেলিয়া মানে আমরা বুঝি শেন ওয়ার্ন, গ্লেন ম্যাযকগ্রা, স্টিভ ওয়াকে। কিন্তু সেই দেশেও যে বছর বছর সাড়ম্বরে দুর্গাপুজো হয়, সেকথা আমরা ক’জন জানি! তবে ২০২২ সাল থেকে নতুন করে পুজো শুরু হচ্ছে তা,সমানিয়াতে। প্রচুর বাঙালি পরিবার রয়েছে সেখানে।
বাঙালি রীতি মেনেই হবে পুজো। তবে পুজো দু’দিনের হোক বা চারদিনের। পঞ্জিকা মতে হোক বা ছুটির দিন দেখে, দশমীর সিঁদুর খেলার রেওয়াজ আছে সর্বত্র। সময়ের ব্যবধানে কলকাতার থেকে ৫ ঘণ্টা এগিয়ে থাকলেও অ্যাডিলেডের এই পুজোর বিশেষত্বই হল, বাংলা পঞ্জিকার দিন মেনেই বোধন থেকে বিসর্জন পুজো হয় দিনের দিনই। অর্থাৎ কলকাতাতে যেদিন আবাহনের মন্ত্রপাঠ শুরু কিংবা অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি এবং নবমী নিশিতে প্রহর গোনার পালা, সুদূর অস্ট্রেলিয়াতেও সেই স্বাদ অক্ষুণ্ণ থাকছে এবছর।
আরও পড়ুন: কানাডার আকাশে-বাতাসে শারদের উৎসবের ছোঁয়া
এবার আসা যাক ভোগের কথায়। দুর্গা পুজোয় ভোগ এক ভিন্ন মহিমা। তা সে খিচুরি-লাবড়া হোক, কিংবা লুচি-আলুরদম। হোক না সুদূর প্রবাস। সেখানের মনেও জমেছে আশ্বিনের নীলাকাশের পেঁজা তুলোর মেঘ, চোখে ভাসছে নদীর পাড়ে কাশফুলের মেলা, নৌকো করে সপরিবারে উমা আসছেন বাড়িতে। বরণ করতে তাই প্রস্তুত অ্যাডিলেডও।