কলকাতা: ধূমপান স্বাস্থ্যের (Health) জন্য ভালো নয় এটা আমরা সবাই জানি। এটি শুধুমাত্র শরীর নয়, ক্ষতি করে দাঁতেরও (Teeth)। নিয়মিত ধূমপান করে,পান-মশলা খেলে দাঁত ক্ষয় যেতে পারে। এমনকি অনেক সময় দাঁতে হলুদ ছোপও দেখা যায়। আর সামনেই যেহেতু পুজো। তাই ত্বকের পাশাপাশি দাঁতেরও যত্ন নিতে হবে। এর জন্য মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করতেই পারেন। তবে, এতে শুধু মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে। দাঁতের হলুদ ছোপ যাবে না। কিন্তু, আয়ুর্বেদে তেল দিয়ে কুলকুচি করার এক পদ্ধতি রয়েছে, যা দাঁতের হলদে ছোপ তোলা এবং মাড়ির যত্ন দুই সমস্যার সমাধান করবে। বিদেশে এই পদ্ধতি ‘অয়েল পুলিং’ (Oil Pulling) নামে পরিচিত। জেনে নিন কোন কোন তেল দিয়ে অয়েল পুলিং করা যায়?
১) নারকেল তেল- চুল, ত্বক থেকে দাঁত, সব সমস্যার সমধান এই নারকেল তেলেই। মুখের দুর্গন্ধ দূর করা থেকে দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখা, সবই করে ফেলতে পারেন নারকেল তেল দিয়ে। নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে লরিক অ্যাসিড, যা আসলে মধ্যমানের এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড। যা মুখের মধ্যে ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়তে দেয় না।
২) তিলের তেল- অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল যৌগ ছাড়াও তিলের তেলে রয়েছে ভিটামিন ই, লিনোলেইক অ্যাসিড এবং প্রয়োজনীয় বেশ কিছু ফ্যাটি অ্যাসিড। এই সমস্ত উপাদান মাড়ির যাবতীয় সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। মাড়ির সমস্যায় ভুগলেও তিলের তেল তা নিরাময়ে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: ক্যাভিটির সমস্যা? দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে কী কী করবেন জেনে নিন
৩) অলিভ অয়েল- স্বাস্থ্যকর মানুষেরা বিভিন্ন খাবারে, স্যালাডে অলিভ অয়েল ব্যবহার করে থাকেন। ওই একই তেল দিয়ে কুলকুচিও করা যায়। অলিভ অয়েলে রয়েছে পলিফেনল এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা প্রদাহ নাশ করতে সাহায্য করে।
৪) সূর্যমুখীর তেল- নারকেল তেল, কিংবা তিলের তেল বাদ দিয়ে কুলকুচির কাজে সূর্যমুখীর তেল ব্যবহার করার রেওয়াজ খুব প্রচলিত নয়। তবে ভিটামিন ই এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের গুণে ভরপুর এই তেল দাঁত এবং মাড়ির সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে।
৫) ঘি- অয়েল পুলিংয়ে ব্যবহৃত একটি উপাদান হল ঘি। ঘিয়ের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণ, মুখের ভিতরের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত এবং মাড়ির যত্নে ব্যবহার করা যেতেই পারে ঘি। দাঁতের হলদে ছোপ এবং মাড়ির স্বাস্থ্য— দুই দিকই রক্ষা হবে এতে।
দেখুন আরও অন্য খবর: