কলকাতা: পুজো আর গান এই দুটো বিষয় একবারে মাখামাখি করে চলে। তাই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে গান হবে না তাই কখনও হয়। আর সেইজন্যই কলকাতা টিভি অনলাইনে সুন্দরী গায়িকা তৃষা, তাঁর পুজো প্ল্যান নিয়ে আড্ডা দিলেন রচনার সঙ্গে।
রচনা: কেমন আছ?
তৃষা: (হেসে) খুবই ভালো আছি।
রচনা: মহালয়া মানেই পুজো চলে এসছে। তোমার কাছেও কি তাই?
তৃষা:একদম, সে আর বলতে। পুজোর গন্ধ অনেক দিন আগেই পেয়েছি। কারণ, এবারে বেশ কিছু অনুষ্ঠান করেছি, যেমন রবীন্দ্রসদনে মহিষাসুরমর্দ্দিনী, তা ছাড়াও মহালয়ার আগের দিন দুটো অনুষ্ঠান করেছি। তাছাড়া মহিষাসুরমর্দ্দিনী শুনলেই মনে হয় যে পুজো এসে গেছে। আর সবথেকে বড় ব্যপার পুজোর সময় যেহেতু আমার বেশ কিছু অনুষ্ঠান থাকে তাই সেই সমস্ত বিষয় প্ল্যানিংয়ের সময় থেকেই পুজো পুজো আমেজটা আমি পেয়ে যাই।
রচনা: আচ্ছা, এই বছরে প্রথম তুমি ‘সুরুচি সংঘে’র পুজোর থিম সং গেয়েছ…
তৃষা: হ্যাঁ, আমি সত্যি এক্সাইটেড ছিলাম। কারণ, এর আগে শ্রেয়াদি (গায়িকা শ্রেয়া ঘোষাল), পলক (পলক মুচ্ছল) গেয়েছেন। আর আমি তাঁদের গাওয়া গানটাই গাইতাম। তবে এই সুযোগ যে কোনও দিন আমার কাছে আসবে, সেই লিস্টে আমার নাম, এটাই অনেক বড় পাওনা আমার কাছে।
এছাড়াও কী বলত রচনা, আমি এতবছর কলকাতায় আছি, পড়াশোনা করেছি কিন্তু ভিড়ের কারণে ভালো করে ঠাকুর দেখার খুব একটা সুযোগ পাইনি। সেটা এখন এই গান গাওয়ার কারণে পেলাম। একটা আলাদা অনুভূতি। এটা একটা বিশাল পাওনা।
রচনা: পুজোয় প্যান্ডেল হপিং হবে তো?
তৃষা: (খানিকটা থেমে) না… পুজোয় সেই ভাবে ঘুরে ঘুরে মণ্ডপ দেখার সময় হয় না। যেহেতু এই সময় আমাদের অনুষ্ঠান থাকে তাই যেটুকু প্রতিমা দর্শন হয় সবটাই অনুষ্ঠান ঘিরে। আলাদা করে ঠাকুর দেখতে যাওয়া হয় না। তবে আমার কমপ্লেক্সে পুজো হয় সেটারই আনন্দ উপভোগ করি।
রচনা: এই পুজোতে কোথায় কোথায় আর কটা শো রয়েছে?
তৃষা: আমি প্রথমে জামশেদপুর যাব, তারপর কলকাতায় আবার বেনারস যাব।
রচনা: তাহলে পুজোতে পরিবারকে কতটা সময় দেওয়া হয়?
তৃষা: হুম…. ফ্যামিলিকে সত্যি বলতে সেভাবে সময় দেওয়া হয় না, অনুষ্ঠানের জন্য। তবে এই নিয়ে আমার ফ্যামিলি আমার সব সময় পাশে থাকে।
রচনা: এই বছর যখনই তোমার পরিবার বা তোমার পরিচিতরা সুরুচি সংঘে যাবেন, আর তোমার গলা শুনতে পাবে, তখন ঠিক কতটা আনন্দ হবে?
তৃষা: (উৎসাহে) ভীষণ, ভীষণ, ভীষণ আনন্দিত হব। আমি কালকেই (মহালয়ার দিন) যখন গিয়েছিলাম উদ্বোধনে, তখনই যখন আমার গানের গলা পেলাম তখনই আমার খুব আনন্দ হচ্ছিল (হেসে)। একেবারে অন্যরকম অনুভূতি। ঈশ্বরের অনেক আশীর্বাদ।
রচনা: তোমার কাছে দূর্গা পুজোর মূল আকর্ষণ কী?
তৃষা: (খানিকটা হেসে) আ…. আমি যেহেতু সব সময় গান বাজনা নিয়েই থাকি, আর থাকতে ভালবাসি তাই পুজোয় নতুন কাজ করা, নতুন গান রিলিজ করাটাই আমার কাছে পুজোর মূল আকর্ষণ। এছাড়াও প্রচুর অনুষ্ঠান করে মানুষকে গান শোনানোর মজাটাই আলাদা।
রচনা: এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করতে চাই, পুজোতে কি নতুন গান আসছে তোমার?
তৃষা: আপাতত পুজো নিয়ে দুটো গান রিলিজ হয়েছে। এছাড়াও একটা আগমনী গান রিলিজ হয়েছে। এছাড়াও সুরুচি সংঘের গানটাও রিলিজ হয়েছে। আর আর… আমার নিজের ইউটিউবে চ্যানেল থেকে আরও একটা গান আসছে,আমার স্টুডেন্টদের নিয়ে,’তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে’, সবার মনের মতো একটা গান, সেই গানটাই নতুন করে নতুন রূপে সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
রচনা: পুজোতে খাওয়া নিয়ে কোনও …
তৃষা: প্রশ্ন থামিয়ে, নো ডায়েট। একদম জমিয়ে খাওয়া হবে।
রচনা: পুজোতে প্রেম এসেছে?
তৃষা: (খুব হাসি) নো কমেন্টস।
রচনা: বিয়ে কবে করছো?
তৃষা: ভালো ছেলে পেলই করব (খুব হাসি)
রচনা: আচ্ছা বেশ বেশ! তবে পুজো খুব ভালো কাটাও..
তৃষা: থ্যাঙ্ক ইউ, তুমিও খুব ভালো পুজো কাটাও