রাতে ফ্যান চালিয়ে ঘুমোনোর সময় আসেনি এখনও, তবে বাড়িতে বাড়িতে এবছরের মত সোয়েটার ও অন্যন্য শীত বস্ত্র ইতিমধ্যেই আলমারির তাকে উঠে পড়েছে। দরজায় যেন কড়া নাড়ছে গ্রীষ্মকাল। আর গরমকাল মানেই ডিহাইড্রেশনের সমস্যা। তাপপ্রবাহে ও অতিরিক্ত গরমে শরীরের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ও জল নষ্ট হয়ে ডিহাইড্রেশনের ফলে একাধিক সমস্যার সৃষ্টি।
তাই গরমকাল আসার আগেই এই বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা ভাল। আগে থেকেই এই নিয়ে সচেতন থাকলে বাড়াবাড়ি হবে না। তাই গরমকালে শরীরে আর্দ্রতা ও পর্যাপ্ত পরিমানে জল বজায় রাখতে এই কাজগুলো অবশ্যই করুন-
প্রচুর পরিমানে জল খান
শরীরে হাইড্রেশন বজায় রাখার প্রথম শর্তই হল প্রচুর পরিামানে জল খাওয়া উচিত। তাই গরমকালে পারলে দিনে অন্তত চার লিটার জল খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত ঘামে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় জল বেড়িয়ে ডিহাইড্রেশনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। শরীরে শুধু আর্দ্রতা বজায় রাখাই নয় ভাল পাচনক্রিয়ার জন্য প্রচুর পরিমানে জলের প্রয়োজন হয়। না হলে ডিহাইড্রেশনের কারনে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রচুর পরিমানে রসালো ফল খান
জল খাওয়ার পাশাপাশি শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে গরমকালে বেশি করে রসালো ফল খান। চাইলে সকালের শুরুটাই একবাটি ফল দিয়ে করতে পারেন। এবং গোটা দিন অল্প অল্প করে ফল খেয়ে যেতে পারেন। বিশেষ করে আঙুর, তরমুজ, খরবুজ, বেদামা ও মুসম্বী ইত্যাদি খেয়ে দেখতে পারেন। প্রচন্ড গরমে এই সব ফল শরীর সুস্থ রাখতে ভীষণ কার্যকরী। এই সব ফল, শরীর থেকে বেড়িয়ে যাওয়া জলের ঘাটতি মেটায়, শরীরকে শক্তি জোগায় ও সারাদিন শরীর চাঙ্গা রাখে।
ফলের রস ও পাতিলেবুর রস
তবে বাড়ির বাইরে সব সময় ফল খাওয়ার সুযোগ থাকে না। তাই এই সময় ফলের টাটকা রস ও পাতিলেবুর রস খেতে পারেন। তবে এরাটেড ড্রিঙ্ক ও সোডা খেয়ে তেষ্টা মিটলেও এই ধরনের পানীয় যত কম খাওয়া যায় ততই ভাল। এতে শরীরের ক্ষতি যেমন হবে তেমন আবার শরীর থেকে বেড়িয়ে যাওয়া জলের ঘাটতিও অপূরণীয় থেকে যাবে। তাই যথাসম্ভব বাড়িতে তৈরি লেমোনেড ও টাটকা ফলের রস খেতে পারেন। এই অভ্যেস নিত্যদিন থাকলে গোটা গ্রীষ্মে আপনি সুস্থ থাকবেন, ডিহাইড্রেশন যেমন হবে না তেমন আবার ত্বকও ভাল থাকবে।
(ছবি সৌজন্যে: Unsplash)