কলকাতা: সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। আকাশে বাতাসে বিসর্জনের বিদায় সুর। আজ মায়ের বিদায়। আবার এক বছরের অপেক্ষা। আজ মঙ্গলবার বিজয়া দশমী। চোখের জলে মাকে বিদায় দিতে হবে। বোধ হয় তাই আকাশও মুখ ভার করে রয়েছে।
বিদায়ের করুণ সুর অবশ্য নবমীর রাত থেকেই বাজতে শুরু করেছে। তাই নবমী নিশিতে শহর থেকে গ্রামে ভিড় উপচে পড়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায়, কোথাও হাল্কা, কোথাও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। তবে বিকেলের পর আর বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টি থামতেই পথে নেমে পড়েছে কাতারে কাতারে মানুষ।
মঙ্গলবার সকালেই শহর ছাড়িয়ে গ্রামেও বহু মণ্ডপে শুরু হয়ে গিয়েছে মাকে বিদায়বরণের পালা। চলছে সিঁদুর খেলা। ঘাটে ঘাটে বিসর্জনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। ইতিমধ্যেই দুই একটি বাড়ির ঠাকুর বিসর্জনও হয়ে গিয়েছে।
টাকিতে ইছামতি নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন দেখার জন্য সকালেই ভিড় জমিয়েছে বহু মানুষ। এই একটি দিনেই দুই বাংলা মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। বেলা যত বাড়ছে, ভিড়ও ততই বাড়ছে টাকিতে।
আর পড়ুন: নবমী তিথিকে কেন মহাপুজো বলা হয়, জানুন আসল কারণ
এদিকে কলকাতাতে বিজয়া দশমীতেও সকালে পথে বেরিয়ে পড়েছেন লোকজন। শহরের অনেক বড় পুজোই শামিল হবে ২৭ অক্টোবরের কার্নিভালে। তাই তাদের ঠাকুর আজ, কাল, পরশুও মণ্ডপে থাকবে। যাঁরা গত তিনদিনে ঠাকুর দেখে উঠতে পারেননি, তাঁরা দলে দলে নেমে পড়েছেন রাস্তায়। মেট্রো আজও চালু হবে বেলা বারোটার পর। তাই বাসে ট্রেনে চেপেই প্যান্ডেল হপিং শুরু করেছে।
শহরের কয়েকটি নামী পুজোয় সেলেবরা সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছেন। তাঁদের সঙ্গী হয়েছেন স্থানীয় মহিলারা। ঠাকুর বরণ করতে এসে অনেক সেলেবকে কোনও কোনও মণ্ডপে ঢাকের তালে তালে নাচতেও দেখা গিয়েছে। তবে ঢাকের সেই বোলে যেন শুধুই বিষাদের সুর। বছর পরে আবার এস মা। এবারের মতো বিদায়।
দেখুন আর খবর: