কোভিড পর্বে কর্নাটকের চামরাজনগরে অক্সিজেনের অভাবে একদিনের মধ্যে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অধিকাংশ পরিবারেরই একমাত্র উপার্জনশীল লোকটি চলে গিয়েছেন। কেই হারিয়েছে বাবাকে, কেউ হারিয়েছে মাকে। তারপর থেকে পরিবারগুলি নিতান্ত দারিদ্রের মধ্যে দিন গুজরান করছে। শুক্রবার ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুল গান্ধী সেই পরিবারের লোকগুলির সঙ্গে দেখা করলেন। কথা বললেন অনেকের সঙ্গে।
প্রতীক্ষা নামে বছর দশেকের এক মেয়ে বাবাকে আজও বড় মিস করে। রাহুলের সামনেই সে বলে, বাবা আমাকে খুব ভালোবাসত। যখন যা চাইতাম, তাই এনে দিত। এখন একটা পেন্সিল কিনে দেওয়ার মতো ক্ষমতাও আমার মায়ের নেই। খুবই কষ্ট করে মা আমাকে বড় করছে। প্রতীক্ষার ইচ্ছে, বড় হয়ে ডাক্তার হবে। বাবার মতো যাতে কেউ অক্সিজেন না পেয়ে মারা যায়, তা সে ডাক্তার হয়ে নিশ্চিত করবে। বলতে বলতে সে কেঁদে দেয়। তখন সামনে বসে থাকা প্রতীক্ষার মায়ের চোখ জল। জল উপস্থিত আরও অনেকের চোখেই। রাহুলের মুখে কোনও কথা নেই। প্রতিক্ষাকে আদর করলেন তিনি। কান্নায় ভেঙে পড়লেন কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা ডি শিবকুমার।
অসহায় পরিবারগুলি রাহুলকে জানায়, বিজেপি সরকার তাদের জন্য কিছু করেনি। যা করেছে, রাজ্যের কংগ্রেস। তাদের কোভিড তহবিল থেকে প্রত্যেক পরিবারকে এক লক্ষ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। রাহুল জানালেন, কংগ্রেস পরিবারগুলির পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। রাজ্যের ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস পরিবারগুলির দেখভালের দায়িত্ব নেবে। শুক্রবার ভারত জোড়ো যাত্রা ২৩ দিনে পড়ল।