একটি টিউশন সেন্টারের ক্লাসরুমে আত্মঘাতী বোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অন্ততপক্ষে ১০০জন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী কাবুলে। আহতের সংখ্যা বহু। তালিবানরা রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করার পরে বারেবারেই রক্তাক্ত হয়েছে আফগানিস্তানের মাটি। তবে এদিনের আত্মঘাতী হামলা তালিবান জমানায় সবচেয়ে বড় হামলা। সূত্রের খবর, কাবুল শহরের পশ্চিমে দস্ত-ই-বারচি এলাকায় ‘কাজ এডুকেশন সেন্টারে’ আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। যে সমস্ত পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই স্কুল পড়ুয়া। হামলার কবলে পড়া এই এডুকেশন সেন্টারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার মক টেস্ট চলছিল। ক্লাসরুম ছিল ঠাসা। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: এসএসসির গ্রুপ সি মামলায় প্রথম চার্জশিটেও পার্থর নাম
এই ভয়াবহ আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পরে মানুষের ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহাবশেষ ছড়িয়ে রয়েছে ওই টিউশন সেন্টার এবং সংলগ্ন এলাকায়। দেহ থেকে খুলে বেরিয়ে আসা হাত-পা-মাথা ছড়িয়ে রয়েছে এলাকায়। নারকীয় পরিবেশ। বিস্ফোরণের পরে এলাকা ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তা বাহিনী। চালানো হচ্ছে উদ্ধারের কাজও।এই হামলার দায় এখনও স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন। তবে অনুমান করা হচ্ছে, এই হামলার সঙ্গে যুক্ত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রভিন্স বা আইএসকেপি। কাবুল শহরে পশ্চিমে অবস্থিত এই এলাকায় এর আগেও হামলা চালিয়েছে আইএসকেপি।
সূত্রের খবর, এদিন আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় মৃত ও জখমদের মধ্যে বেশিরভাগই হাজারা ও শিয়া সম্প্রদায়ের। এই আত্মঘাতী হামলা তীব্র নিন্দা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রসঙ্গত, তালিবানরা রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করার আগে কাবুলের দস্ত-ই-বারচিতে জঙ্গিদের ঘটানো বিস্ফোরণে ৮৫জনের মৃত্যু হয়েছিল।