নয়াদিল্লি: বান্ধবীকে খুন করে দেহটি ৩৫টি টুকরো করে কেটে ফেলে আততায়ী। তারপর সেই দেহাংশ রাখার জন্য একটি ফ্রিজ কেনে আদতে মুম্বাইয়ের বাসিন্দা আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। গত ১৮মে ওইভাবে নিজের লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা মাদানকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর তাঁর দেহাংশগুলি রাত দুটোয় বেরিয়ে দিল্লির (New Delhi) লাগোয়া মেহরৌলির জঙ্গলের নানা জায়গায় ফেলে আসত। পরপর ১৮দিন ধরে ওইভাবে দেহাংশগুলি জঙ্গলের বিভিন্ন অংশে ফেলত আফতাব। পরে পুলিশের কাছে নিজের সব ভয়ঙ্কর কাজকর্ম স্বীকার করে নিয়েছে ওই দুষ্কৃতী।
পুলিশ সূত্রে খবর মুম্বইয়ে (Mumbai) একটি বহুজাতিক সংস্থার কল সেন্টারে কাজ করতেন বছর ছাব্বিশের শ্রদ্ধা মাদান। সেখানেই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় আফতাব পুনাওয়ালার। দুজনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হলে শ্রদ্ধার পরিবারের তরফে এব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। ওই নিয়ে সমস্যা বাড়ার পর দুজনে মুম্বই থেকে পালিয়ে দিল্লি চলে আসেন এবং মেহরৌলি এলাকায় (Meharauli) একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
কিন্তু কিছুদিনের শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁর লিভ-ইন পার্টনারের অশান্তি শুরু হয়। এরকম ঝগড়া-অশান্তির মধ্যে গত ১৮মে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে আফতাব। তারপর তাঁর দেহটি ৩৫টি টুকরোয় কাটে ওই দুষ্কৃতী। আর ওই দেহাংশ রাখার জন্য একটি ফ্রিজও (Fridge) কেনে আফতাব পুনাওয়ালা। এরপর থেকে পরপর ১৮ দিন ধরে নিহত শ্রদ্ধার দেহের অংশ নিয়ে রাত দুটোর সময় ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে সে মেহরৌলির জঙ্গলে চলে যেত।
তারপর ওই দেহের অংশগুলি জঙ্গলের নানা অংশে ফেলে চলে আসত শ্রদ্ধার এক সময়ের লিভ-ইন পার্টনার (Live-in partner)। এদিকে ওই ঘটনার পর দীর্ঘদিন ধরে মেয়ের মোবাইল ফোন সুইচড অফ (Mobile swiched off) আছে দেখে শেষে মুম্বই থেকে দিল্লি আসার সিদ্ধান্ত নেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মাদান। গত ৮ নভেম্বর দিল্লিতে এসে মেহরৌলির ওই ফ্ল্যাটে যান বিকাশ। কিন্তু সেখানে দরজায় তালা লাগানো ছিল। এরপর তিনি স্থানীয় মেহরৌলি থানায় মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে আফতাবকে গত শনিবার গ্রেফতার করে। আর তারপর জেরার মুখে নিজের যাবতীয় দুষ্কর্মের কথা স্বীকার করে নেয় পুনাওয়ালা।