কলকাতা: আরও দুই চিতা শাবকের (Cheetah Cubs ) মৃত্যু হল কুনো জাতীয় উদ্যানে (Kuno National Park)। বৃহস্পতিবার মৃত্যু হল আরও দুই চিতা শাবকের। জাওয়ালা (Jawala Alias Siyaya) নামে নামিবিয়ার চিতাটি যে চার শাবকের জন্ম দিয়েছিল তার মধ্যে একটির মৃত্যু হয় গত ২৩ মে। দু’দিনের মাথায় আরও দু’টি শাবকের মৃত্যুতে প্রশ্ন উঠেছে কুনোর জঙ্গলের রক্ষণাবেক্ষণ এবং আফ্রিকান অতিথিদের দেখভাল নিয়ে।
জানা গিয়েছে, একটি শাবকের মৃত্যুর পর জাওয়ালার বাকি তিন শাবককে পালপুরে পশু চিকিৎসকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। কড়া মনিটরিংয়ে রাখা হয়েছিল জাওয়ালার সন্তানদের। বিকল্প খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল তাদের জন্য। কিন্তু, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শাবকগুলির শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করেছিল তারা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মাত্রাতিরিক্ত তাপপ্রবাহে অসুস্থ হয়ে পড়েছে চিতা শাবকগুলি। কুনোর জঙ্গে গত দু’দিন ধরে তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল প্রায় ৪৬ থেকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর এই গরমে লু লেগে অসুস্থ হয়ে পড়ে চিতা শাবকগুলি। অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলে তাদের ক্রিটিক্যাল কেয়ারে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে একটি শাবককে বাঁচানো সম্ভব হলেও দু’টির মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন:Karnataka Cabinate | কর্নাটকে মন্ত্রিসভা গঠনের জট কাটেনি, দিল্লিতে দফায় দফায় বৈঠক
প্রসঙ্গত, ১৯৫২ সালেই ভারতের মাটি থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায় চিতা। তারপর পুনরায় দেশে চিতা ফিরিয় আনতে তৎপর হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর উদ্যোগেই দীর্ঘ সাত দশক পর নামিবিয়া থেকে নিয়ে আসা হয় চিতাশাবক। গত বছর ৮টি চিতা আসে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে সেগুলি কুনো ন্যাশনাল পার্কে ছাড়েন। তারপর এবছর আরও ১২টি চিতা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে এবং সেগুলিও রাখা হয়েছে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে।