মুম্বই: মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস-এর (TISS) কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়েছিল, ক্যাম্পাসে নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) নিয়ে বানানো বিবিসি-র (BBC) তথ্যচিত্র দেখানো যাবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও ক্যাম্পাসের মধ্যেই একদল পড়ুয়া তাঁদের ফোনেই দেখে নিলেন বিতর্কিত তথ্যচিত্রটি। নির্দেশ উপেক্ষা করায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাদের যুক্তি, ক্যাম্পাসে বিবিসি-র তথ্যচিত্র (Documentary) স্ক্রিনিং আদতে পড়ুয়াদের উস্কানোর চেষ্টা।
এদিকে এই স্ক্রিনিংয়ের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের বাইরে প্রতিবাদে বসে এবিভিপি (ABVP) এবং বিজেওয়াইএম (BJYM)। এই দুই ছাত্র সংগঠন বিজেপি (BJP) এবং আরএসএসের (RSS) সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এরপর পুলিশ এসে জানায়, জমায়েত করা যাবে না। তাতেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় প্রতিবাদীরা। রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপির মুম্বই ইউনিটের নেতা আশিস শেলার (Ashis Shelar) এ নিয়ে টুইট করে লেখেন, পুলিশের উচিত অবিলম্বে এটা নিষিদ্ধ করা না হলে আমরা যে অবস্থান নিতে চাই সেটা নেব।
আরও পড়ুন: Abhisekh Banerjee: ‘মানুষ তৃণমূলের কাছে ক্ষোভ উগরাবে না তো কি বিজেপির কাছে উগরাবে?’
প্রসঙ্গত, দুই অংশে ভাগ করা বিবিসি-র বিতর্কিত তথ্যচিত্রে তুমুল সমালোচনা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi)। ভারতীয় মুসলিমদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এবং ২০০২ সালের গুজরাত (Gujarat) দাঙ্গায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ভূমিকা এই তথ্যচিত্রের উপজীব্য বিষয়। ইউটিউবে প্রকাশিত হতেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তা নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্য ২০২১ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের অধীনে জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার তিরুবনন্তপুরমের শাঙ্গুমুঘম সৈকতে দেখানো হয়েছিল বিতর্কিত তথ্যচিত্রটি। তার আগে দিল্লি, হায়দরাবাদ, কলকাতা, চণ্ডীগড় সহ একাধিক জায়গায় দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) তথ্যচিত্রটির স্ক্রিনিং করেছিল ভারতের ছাত্র ফেডারেশন (SFI)। তাতে কোনও রকম পুলিশি হস্তক্ষেপ হয়নি। তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করা নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কটাক্ষ করে বলেছিলেন, সত্য উজ্জ্বল হয়। এর বেরিয়ে আসার এক বিচ্ছিরি অভ্যেস রয়েছে। তাই কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা, নিপীড়ন, মানুষকে ভয় দেখানো সত্য বেরিয়ে আসাকে আটকাতে পারবে না।