মুম্বই: দেশের রাজধানী হলেও, দিল্লি (Delhi) হামেশাই মাত্রারিক্ত বায়ুদূষণের (Air Pollution) কল্যাণে খবরের শিরোনামে উঠে আছে। কিন্তু দূষণের জন্য ভারতের বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ের (Mumbai) নাম সেভাবে আসে না। তবে সম্প্রতি মুম্বইতে বায়ুদূষণের মাত্রা যেভাবে বেড়েছে, তাতে দিল্লিকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে বায়ুদূষিত শহরের অগৌরবের শিরোপা উঠেছে বাণিজ্য নগরীর মাথায়। গত কয়েকদিনে মুম্বইয়ে আবহাওয়া দূষণে ভরে উঠেছে। বায়ুর গুণগত মান শ্বাসযোগ্যতার সীমা অনেক আগেই ছাড়িয়েছে। দেশের আর্থিক রাজধানী মুম্বই প্রতিনিয়ত দূষণের কবলে পড়ছে। মুম্বইয়ে দূষণের প্রভাব ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী, বাতাসের মান ক্রমাগত নিম্নমুখী।
বাতাসের গুণমান পরিমাপকারী সুইস সংস্থা আইকিউএয়ার অনুসারে, ২৯শে জানুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংগ্রহ করা ডেটা বলছে, মুম্বই বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহর ছিল।
সবচেয়ে দূষিত শহরদের নিয়ে তৈরি আইকিউএয়ারের তালিকায় ২৯ জানুয়ারি দশম স্থানে ছিল মুম্বই। এরপর ২ ফেব্রুয়ারিতে তালিকার শীর্ষে উঠে আসে ভারতের বাণিজ্য নগরী। ৮ ফেব্রুয়ারি বায়ুতে দূষণের মাত্রা সামান্য কমায় দ্বিতীয় স্থানে নেমে আসে মুম্বই। এদিকে, ১৩ ফেব্রুয়ারি মুম্বই শহরে রেকর্ড হওয়া বায়ুর গুণমানের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর হিসেবে স্থান পেয়েছে, এমনকি ভারতের সবচেয়ে দূষিত শহর রাজধানী দিল্লিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন:DA Protest: ডিএ না পেলে পঞ্চায়েত ভোটে কাজ নয়, কমিশনকে জানাবে রাজ্যকর্মীদের যৌথ মঞ্চ
সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড (Central Pollution Control Board – CPCB)-এর তথ্য অনুসারে, চলতি শীতের মরশুমের আগের তিনটি শীতের তুলনায় এবার নভেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে মুম্বইতে বায়ুর গুণমান সবচেয়ে খারাপ ছিল। এর অন্যতম কারণ হল লা নিনার প্রভাব। লা নিনা হলে তাপমাত্রা নেমে যায়। প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, প্রশান্ত মহাসাগরে জলের উপরিভাগের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ার কারণে পশ্চিম উপকূলে বায়ু প্রবাহের গতি কমে গিয়েছিল। সেই কারণে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। এর মধ্যে ৭১ শতাংশ দূষণের মাত্রা বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে রাস্তা অথবা কোনও নির্মাণ কাজের ফলে উৎপন্ন হওয়া ধূলিকণা। বাদবাকি ২৯ শতাংশের জন্য দায়ী শিল্প ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বিমানবন্দর এবং আবর্জনা। এই তথ্য দিয়েছে ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইন্সিটিউট (National Environmental Engineering Research Institute – NEERI) এবং ইন্ডিয়ান ইন্সিটিউট অফ টেকনোলজি বম্বে (Indian Institute of Technology Bombay, IIT-B)।