শ্রীনগর: উপত্যকায় ফের বড়সড় সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর (Security Force)। রাতভর সংঘর্ষ চলার পর পুলওয়ামায় (Pulwama) নিকেশ লস্কর কম্যান্ডার সহ ২ জঙ্গি। রবিবার রাত থেকেই সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল উপত্যকা। রাতভর সেই সংঘর্ষ চলে। সোমবার সকালে সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়, জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) পুলওয়ামায় এনকাউন্টারে দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই দুই নিহত জঙ্গির পরিচয় জানা যায়নি, তবে অনুমান করা হচ্ছে নিহত ২ জঙ্গির একজন লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-e-Taiba) সদস্য।
রবিবার রাতে পুলওয়ামা জেলার ল্যারো-পারিগাম এলাকায় এনকাউন্টার শুরু হয়। কাশ্মীর জ়োন পুলিশের তরফে টুইট করে জানানো হয়, পুলওয়ামাতে যে নতুন করে ঘাঁটি গাড়ার চেষ্টা করছে জঙ্গি বাহিনী সেই খবর আগে থেকেই ছিল। সেইমতোই রবিবার গভীর রাতে আক্রমণ চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। উল্টে নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে গুলি চালায় জঙ্গিরা। এরপরই সেখানে শুরু হয় গুলির লড়াই। এ দিন সকালে সেনার তরফে জানানো হয়, রবিবার রাত থেকে শুরু হওয়া এনকাউন্টারে দুইজন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। নিহত জঙ্গিরা লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। এদের মধ্যে একজন লস্করের শীর্ষ স্থানীয় কম্যান্ডার। তবে তাদের দেহ এখনও উদ্ধার করা যায়নি, ফলে পরিচয়ও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন:পুলিশি জেরার ভয়ে আত্মহত্যার কথা হস্টেলের আবাসিকের
এর আগে দুই সপ্তাহ আগেই, গত ৫ অগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি জেলাতেও যৌথভাবে জঙ্গি দমন অভিযান চালিয়েছিল সেনাবাহিনীর রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। ওই এনকাউন্টারে এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়। তার আগের দিনও জম্মু-কাশ্মীরের কুলগামে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ হয়েছিল। সেই অভিযানে জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর জখম হন তিনজন সেনাকর্মী। পরে চিকিৎসা চলাকালীন তিনজনেরই মৃত্যু হয়।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, নিরাপত্তা বাহিনী দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলার হালান বনাঞ্চলের উচ্চতর অঞ্চলে জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পর অনুসন্ধান অভিযান চালিয়েছিল। পুলিশ আরও জানায়, জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পাল্টা জবাব গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। এরপরই শুরু হয় এনকাউন্টার। গুলি লড়াইয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্য আহত হয়েছেন। আহত তিন সেনা সদস্য চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।