নয়াদিল্লি: শ্রদ্ধা ওয়াকারের (Shraddha Walkar) কাটা মুণ্ডর একাংশ উদ্ধার করল দিল্লি পুলিশ ( Delhi police)। মেহরৌলির জঙ্গল (Mehrauli forest) থেকে কয়েকটি দেহাংশও রবিবার খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। মাথার খুলির নীচের অংশ পা ভাঙা চোয়াল এবং আরও কয়েকটি হাড় উদ্ধার হয়েছে। এগুলিও ফরেনসিক ও ডিএনএ (DNA) পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
শ্রদ্ধাকে খুনের পর তার প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aftab Ameen Poonawala) সম্ভাব্য অনেক প্রমাণ লোপ করে দিয়েছে। আফতাবের নারকো পরীক্ষার অনুমতি দেওয়ার পর দিল্লি পুলিশ ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিকে অনুরোধ জানিয়েছে। তারা সেই সুপারিশ মেনে নিলেই আফতাবের নারকো পরীক্ষা হবে।
আরও পড়ুন: Aindrila Sharma: ঐন্দ্রিলাকে শেষ দেখতে হাসপাতালের সামনে মানুষের ভিড়
আগামী তিনদিন পুলিশের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বুধবার পর্যন্ত আফতাবের পুলিশ হেফাজত রয়েছে। এখনও মূল প্রমাণের অনেক কিছুই উদ্ধার করতে পারা যায়নি। আফতাবের ফ্ল্যাট থেকে শনিবার পুলিশ একটি ভারী ধারাল কাটার যন্ত্র পেয়েছে। চপার জাতীয় এই জিনিসটা দিয়েই শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান।
এছাড়া গুরুগ্রামে আফতাবের কাজের জায়গা থেকে পুলিশ একটি বিরাট মাপের পলিথিন ব্যাগ পেয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ মাসের পুরনো এই খুনের ঘটনার কোনও সাক্ষী নেই। সে কারণে পুলিশকে ফরেনসিক রিপোর্ট, কল ডেটা এবং ঘটনা পারম্পর্যের প্রমাণের উপরেই ভরসা করতে হবে।
প্রেমিকার দেহাংশ জঙ্গলে ফেলে আসার সময়ও তার হাঁটাচলা একেবারে স্বাভাবিক ছিল। শ্রদ্ধা খুনের ঘটনায় আফতাবের এরকমই তাজ্জব করা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সামনে এসেছে।
পুলিশ সূত্রের দাবি, গত ১৮ অক্টোবরের ওই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, আফতাব পিঠে একটি ব্যাগ ও হাতে বাক্স নিয়ে ঘোরাঘুরি করছে। তা নিয়ে সে জঙ্গলের দিকে যাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, ওই ব্যাগে শ্রদ্ধার দেহাংশ রয়েছে। তা জঙ্গলে (forest) ফেলার জন্যই সে যাচ্ছিল। পুলিশ সূত্রের দাবি, আফতাব ওই দেহগুলি ফেলার জন্য তিনবার রাউন্ড দিয়েছে। ভিডিওতে এক তরুণকে হেলেদুলে স্বাভাবিকভাবে হেঁটে যেতে দেখা যাচ্ছে। পুলিশের দাবি, সেটি আফতাবেরই ভিডিও ফুটেজ।