রাচি: ঝাড়খণ্ডের বিচারপতি উত্তম আনন্দের মৃত্যুর ঘটনাটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে এমনটাই জানাল সিবিআই। গত ২৮ জুলাই ধানবাদ স্ট্রিটে অটোর ধাক্কায় মৃত্যু হয় বিচারপতি উত্তম আনন্দের। ঝাড়খণ্ড পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও গত ৫ অগাস্ট বিচারপতির মৃত্যুর তদন্তভার হাতে তুলে নেয় সিবিআই। ঘটনার তদন্তে নেমে দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো বড় শহরগুলি থেকে ফরেন্সিক দল পৌঁছয় ধানবাদে। ওই ঘটনার পরেই পুলিশের জালে গ্রেফতার হয় দুই অভিযুক্ত। ধৃতেরা হলেন অটোচালক লখন বর্মা ও রাহুল বর্মা। তাঁরা দুজনেই গুজরাতের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এমনকী ঘাতক অটোটি একজন মহিলার নামে নথিভুক্ত ছিল বলে জানতে পারেন তদন্তকারী সংস্থাটি।
ঘটনার পুনর্নিমান, সমস্ত ফরেন্সিক প্রমাণ, থ্রিডি বিশ্লেষণের পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি ‘খুনের তত্ত্বটিকে’ই সিলমোহর দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: উরির কাছে এনকাউন্টারে খতম তিন জঙ্গি, উদ্ধার বিপুল অস্ত্র
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে ঘটনার তদন্তটি প্রায় শেষ পর্যায় এসে পৌঁছেছে। অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির ব্রেন ম্যাপিং, নারকো অ্যানালাইসিস এবং লাই ডিটেক্টরের মতো একাধিক পরীক্ষা ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। তারই প্রেক্ষিতে খুনের তত্ত্বটিকেই জোড়ালো সমর্থন করছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুর জনবহুল বাজারে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, হতাহত ৫
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই ধানবাদে একাধিক মাফিয়া হত্যার মতো স্পর্শকাতর মামলার বিচারক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন বিচারপতি উত্তম আনন্দ। বিখ্যাত রঞ্জিত সিংহ হত্যা মামলার শুনানিও চলছিল তাঁর এজলাসে। ওই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ছিল আমন সিং। যার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক উত্তম আনন্দ। ঝাড়খণ্ডে একাধিক কিডন্যাপ আর তোলাবাজির ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল আমন সিং। অটো ধাক্কার ঘটনাও আমনের জামিন খারিজ হয়ে যাওয়ার পরেই। সুতরাং সমস্ত ঘটনাই বিচারপতি উত্তম আনন্দের মৃত্যুর পেছনে ‘মোটিভ’ হিসেবেই কাজ করেছে বলে দাবি ওয়াকিবহল মহলের।