কাটরা: বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরে (Stampede at Vaishno Devi) পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হল। সেই কমিটি এক সপ্তাহের মধ্যে গোটা ঘটনার রিপোর্ট জমা দেবে। সূত্রের খবর, এই কমিটিতে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি (হোম), পুলিসের এডিজি (জম্মু) এবং জম্মুর বিভাগীয় কমিশনারও রয়েছেন।
বর্ষবরণের রাতে কাটরার বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। আহত ১৩। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ২লক্ষ ও আহতেদের ৫০ হাজার আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেন তিনি।
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে টাইমস অব ইন্ডিয়া সূত্রে খবর, দুই দলের হাতাহাতি থেকেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। মাতা বৈষ্ণো দেবী শ্রাইন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তীর্থযাত্রীদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের কারণেই পদপিষ্ট হয়। এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায়, মোট ১২ জন তীর্থযাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১৬ জন আহত হয়েছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, বোর্ডের পাশাপাশি রিয়াসি জেলা প্রশাসন আহত তীর্থযাত্রীদের অবিলম্বে শ্রী মাতা বৈষ্ণো দেবী নারায়ণ সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছে। কাকরিয়াল মেডিকেল ইউনিট ভবনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরে বিশেষ চিকিত্সার জন্য স্থানান্তর।
নতুন বছর উপলক্ষে ভক্তদের ঢল নেমেছিল জম্মু-কাশ্মীরের ত্রিকুটা পাহাড়ে অবস্থিত বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরে। রাত ২টো ৪৫ মিনিট নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান জম্মু-কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মন্দির চত্বরে দর্শনার্থীদের দুই দলের মধ্যে মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি সেখান থেকেই এঘটন ঘটে বলে তিনি আরও জানান।