নয়াদিল্লি: দিল্লি দাঙ্গায় অভিযুক্ত উমর খালিদের জামিনের বিরোধিতায় আদালতে উঠল ৯/১১ হামলার প্রসঙ্গ। শুক্রবার দিল্লি পুলিসের আইনজীবী জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) প্রাক্তন ছাত্র উমর খালিদের জামিন-আবেদনের বিরোধিতা করার সময় তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ হামলার সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে তুলনা করেন। বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অমিত প্রসাদ খালিদের বিরুদ্ধে সভা সংগঠিত করার ষড়যন্ত্র নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের স্থান ঘুরে দেখার অভিযোগ তুলেছেন।
অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অমিতাভ রাওয়াতের সামনে দিল্লি দাঙ্গায় অভিযুক্ত উমরের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে আইনজীবী অমিত প্রসাদ বলেছেন, ৯/১১ হামলা হওয়ার ঠিক আগে, এর সঙ্গে জড়িত সকলেই একটি বিশেষ জায়গায় পৌঁছেছিল এবং প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। এর এক মাস আগে তারা নিজ নিজ স্থানে চলে যান। এই ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। ৯/১১-র মূল ষড়যন্ত্রকারী কখনও আমেরিকা যাননি। মালয়েশিয়ায় বৈঠক করে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তখন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট পাওয়া যেত না। কিন্তু উমরের বিরুদ্ধে প্রমাণ রয়েছে।
দিল্লি পুলিসের আইনজীবী আদালতে বলেন, ২০২০-র হিংসার বিক্ষোভের বিষয়টি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে ছিল না। আন্দোলনকারীদের মূল উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে বিব্রত করা এবং এমন পদক্ষেপ নেওয়া যাতে এই ঘটনা আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে শিরোনামে স্থান পেতে পারে। শুনানির সময় প্রসিকিউটর আদালতে বলেন, পরিকল্পিতভাবে প্রতিবাদস্থল বাছা হয়েছিল। সমস্ত প্রতিবাদের স্থানগুলি মসজিদের নিকটবর্তী হওয়ার কারণেই বেছে নেওয়া হয়েছিল। একটি উদ্দেশ্যে ধর্মনিরপেক্ষতার নাম দেওয়া হয়েছিল।
২০১৯-এর বছর ডিসেম্বরে সংসদে সংশোধিত্ব নাগরিকত্ব আইন পাশ করিয়ে নেয় মোদি সরকার। এর প্রতিবাদে শাহিনবাগ-সহ একাধিক এলাকায় সিএএ বিরোধী আন্দোলন মাথা চাড়া দেয়। ফেব্রুয়ারিতে সিএএ বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে ৫৩ জন প্রাণ হারান। আহত হন ৭০০-র বেশি। শাহিনবাগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন উমর খালিদ উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। দিল্লি হিংসার ঘটনায় ২০২০-র ৬ মার্চ প্রথম উমর খালিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়।