Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeদেশঅভিষেকের সুরে শাহকে 'আসল পাপ্পু' বলে কটাক্ষ তৃণমূল সাংসদ জহরের

অভিষেকের সুরে শাহকে ‘আসল পাপ্পু’ বলে কটাক্ষ তৃণমূল সাংসদ জহরের

Follow Us :

নয়াদিল্লি: দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলার পর থেকেই শুরু হয়েছিল টানাপোড়েন। একাধিক শীর্ষনেতা কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তাঁকে। এমনকী আকারে-ইঙ্গিতে সাংসদ পদ ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়। এরই মধ্যে দলের রাজ্যসভার সাংসদদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এনিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতেই নতুন গ্রুপে যুক্ত করা হয় তৃণমূল সাংসদ জহর সরকারকে। সেই গ্রুপে যুক্ত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অমিত শাহকে নিশানা করলেন জহর।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহলে ‘আসল পাপ্পু’ বলে কটাক্ষ করেন জহর সরকার। শাহর ছবি দেওয়া এবং ‘ইন্ডিয়াস বিগেস্ট পাপ্পু’ লেখা একটি টিশার্টের ছবি পোস্ট করে টুইটে তিনি লেখেন, ‘এটি কলকাতায় ভাইরাল। বাংলা জানে, তাঁর (সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ) ধোঁকাবাজির পিছনেই আসল পাপ্পু!’ টুইটটি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস এবং অভিষেককে ট্যাগ করেন জহর।

জহর সরকারকে নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই চাপানউতোর চলছিল। দিনকয়েক আগেই তৃণমূলের এই রাজ্য সভার সদস্য মন্তব্য করেছিলেন দলের একাংশে পচন ধরে গিয়েছে। এই পচন রোধ না হলে ২০২৪-এ লড়াই করা অসম্ভব। সেখানেই না থেমে জহর সরকার দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গও তুলেছিলেন।

আত্মীয় থেকে বন্ধুরা তাঁকে তৃণমূল ছাড়ার কথা বলেছেন বলেও জানান জহর। কেন তিনি এখনও তৃণমূলে আছেন, সে প্রশ্নও বন্ধুরা করেন তাঁকে। এমন প্রশ্ন তিনি যে অপমানিত-লাঞ্ছিত, তাও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। তৃণমূল সম্পর্কে বলতে গিয়ে সে দিন জহর বলেন, বন্ধুরা জানতে চাইছে, আমি কতটা পেয়েছি। এমন কথা বলার পরই জহর সম্পর্কে দলের মধ্যে বাড়তে থাকে অস্বস্তি। মুখ খোলেন লোকসভার সদস্য সৌগত রায়। 

সৌগত বলেন, ‘জহর সরকার কোনও দিন তৃণমূলের মিছিলে হাঁটেননি। ওঁকে সব চেয়ে লোভনীয় পদ রাজ্যসভার সাংসদ করেছিল দল। তিনি কি না দলের ভিতরে না বলে প্রকাশ্যে দল বিরোধী কথা বলে দিলেন! এটা খুবই লজ্জার কথা। ওঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র তাপস রায়ের কথায়, ‘‘জহরবাবুর এই মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অরাজনৈতিক।’

তাঁর কথায়, ‘রাজ্যসভার ভোটে জহরবাবুর নির্বাচনী এজেন্ট হয়েছিলাম। আজ লজ্জা হচ্ছে।’ সুখেন্দুশেখরের বলেন, ‘দায়িত্বশীল মানুষের দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত।’এত সব কিছুর পর জল্পনা বড় আকার নিয়েছিল শনিবারের বার বেলায়। যখন তৃণমূলের রাজ্যসভার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় জহরকে। জল্পনা যখনই চূড়ান্ত হচ্ছিল তখন ফের একটি নতুন গ্রুপ তৈরির খবর সামনে আসে। যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জহর সরকার-সহ প্রতিটি রাজ্যসভার সদস্য রয়েছেন। 

RELATED ARTICLES

Most Popular