লখনউ: আগামী বছরের শুরুতেই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন (Election)৷ ৪০৩ আসন বিশিষ্ট উত্তরপ্রদেশে সরকার (Government) গড়তে মরিয়া হয়ে উঠতে চাইছে কংগ্রেস (Congress)৷ মহিলা ক্ষমতায়ানের মাধ্যমে চেষ্টায় ক্ষামতি রাখতে চাইছে না কংগ্রেস৷ তাই, ৪০ শতাংশ আসতে মহিলাদের টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর আরও একটি ঘোষণা করেছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) ৷ তিনি জানিয়েছেন, সে রাজ্যে ক্ষমতায় এলে স্কুল পাশ মেয়েদের মোবাইল ফোন ও স্নাতক পাশ মেয়েদের স্কুটি দেবে কংগ্রেস৷ এরফলে, নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি হবে বলেই মনে করছেন কংগ্রেস৷ এ বিষয়ে প্রিয়ঙ্কা টুইট করেও জানিয়েছেন৷ যদিও রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, নারীর ক্ষমতায়ানে প্রথম পথ দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস৷ বর্তমানে সেটাকেই অনুকরণ করতে চাইছে কংগ্রেস৷
বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী টুইটে লিখেছেন, রাজ্যে ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস স্কুল পাস করা প্রত্যেক মেয়েকে স্মার্টফোন ও স্নাতক সম্পন্ন করা নারীদের ইলেকট্রিক স্কুটি উপহার দেবে। কংগ্রেস চায় নারীর ক্ষমতায়ন।
कल मैं कुछ छात्राओं से मिली। उन्होंने बताया कि उन्हें पढ़ने व सुरक्षा के लिए स्मार्टफोन की जरूरत है।
मुझे खुशी है कि घोषणा समिति की सहमति से आज UP कांग्रेस ने निर्णय लिया है कि सरकार बनने पर इंटर पास लड़कियों को स्मार्टफोन और स्नातक लड़कियों को इलेक्ट्रानिक स्कूटी दी जाएगी। pic.twitter.com/hoW5DfhS3f
— Priyanka Gandhi Vadra (@priyankagandhi) October 21, 2021
হিন্দিতে টুইটে তিনি আরও লিখেছেন, ‘গতকাল বেশ কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তাঁরা বললেন, পড়াশোনা ও নিরাপত্তার জন্য তাঁদের স্মার্টফোনের খুব প্রয়োজন। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ইশতেহার কমিটির অনুমোদন নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাজ্যে ক্ষমতায় এলে সব স্কুল পাস ছাত্রী ও স্নাতক সম্পন্ন করা নারীকে স্মার্টফোন ও ইলেকট্রিক স্কুটি দেবে।’
আরও পড়ুন-মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারে সঙ্গে দেখা, কিষাণ মোর্চা থেকে বহিষ্কার যোগেন্দ্র যাদব
টুইটে প্রিয়াঙ্কার পোস্ট করা ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু ছাত্রী সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন। তাঁরা প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে সেলফিও নিয়েছেন। এক ছাত্রী বলেন, সেলফি তোলার জন্য তাঁদের স্মার্টফোন আছে কি না প্রিয়াঙ্কা তাঁদের জিজ্ঞাসা করেন। তাঁরা বলেন, তাঁদের ফোন নেই, তা ছাড়া কলেজে ফোন নিয়ে যাওয়ার অনুমতিও নেই। তখন প্রিয়ঙ্কা জানান, ফোন দেওয়ার ব্যবস্থা তিনি করতে পারেন কি না দেখছেন। মেয়েরা খুশি হয়ে বলেন, ফোন পেলে তাঁদের খুবই উপকার হবে। কারণ, নিরাপত্তার জন্য ফোন খুবই জরুরি।