কলকাতা: আগামী দিনে শিল্পকে হাতিয়ার করে বাংলার উন্নয়ন মানচিত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় যে তৃণমূল সরকারের দায়িত্ব এবং কর্তব্য, সে কথাই আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ৪ পুরনিগম সবুজায়নের পর মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, এই জয় মানুষের জয়। আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়ল। মানুষের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। যত জয় আসবে, ততই আমাদের নম্র হতে হবে। সন্দেহ নেই দলীয় কর্মী, সংগঠক, নেতা, সাংসদ, বিধায়ক প্রত্যেকের প্রতি সৌজন্য-নম্রতার এক বার্তাও দিলেন তিনি।
শিলিগুড়ি সহ ৪ পুরনিগম প্রায় বিরোধীশূন্য করেছে তৃণমূল। এই মুহূর্তে শিলিগুড়ি ছাড়া আর ৩ পুরনিগমের মেয়র কে হবেন, তা জানাননি মমতা। তার আগে প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে উত্তরবঙ্গে রওনা হন তিনি। সফরের আগে বিমানবন্দর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, শিল্পকে সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আগামী দিনে বাংলার শিল্পায়নের মানচিত্রকে আরও মজবুত করা এই সরকারের অন্যতম কর্তব্য সেকথা বুঝিয়ে মমতার মন্তব্য, রাজ্যের প্রতিটি মানুষকে পরিষেবা দিতে হবে। কাউকে বঞ্চনা করা চলবে না। রাজ্যের মানুষ এই সুযোগ দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সেই দায়িত্ব পালন করবে।
৩ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে আজই রওনা দিলেন নেত্রী। শুধু প্রশাসনিক নয়, রাজনৈতিক ভাবেও এই সফর গুরুত্বপূর্ণ। এদিনই শিলিগুড়ি পুরনিগম তিন দশকের বেশি সময় পর বামেদের হাতছাড়া হল। যে অশোক ভট্টাচার্যকে সামনে রেখে শিলিগুড়িতে লাল পতাকা উড়েছিল এতদিন, সেখানেও পর্যদস্তু হতে হল তাদের। ১১ বছর আগে বাংলার সর্বত্র মুছে গেলেও শিলিগুড়িতে লাল দুর্গ অক্ষত ছিল। এদিনের মমতা ঝড়ে সেই দুর্গের রং হল সবুজ। এখন দেখার ৩ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে শিলিগুড়ি নিয়ে কী বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই গৌতম দেবকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেছে। কীভাবে গৌতমের নেতৃত্বে নতুন রূপে গড়ে উঠবে, এ প্রসঙ্গে মমতা কোনও রূপরেখা এঁকে দেন কি না, সেটাও দেখার।
আরও পড়ুন: Mamata slams BJP-Congress-CPIM: বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএমকে জগাই-মাধাই-গদাই বলে কটাক্ষ মমতার