কলকাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। বঙ্গ জয়ের লক্ষ্যে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামলেও মমতার দাপটে ১০০ আসনের গণ্ডিও পেরতে পারেনি গেরুয়া শিবির। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলায় ভোট প্রচারে ১৫১ কোটিরও বেশি টাকা খরচ করেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূলের দাবি, এর চেয়ে কয়েকগুন বেশি টাকা খরচ করেছে গেরুয়া শিবির। বাংলার নির্বাচনে বিপুল টাকা ব্যয় নিয়ে বিজেপিকে একহাত নিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। ফেসবুকে পোস্টে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বিজেপিকে কটাক্ষ করা ছাড়াও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি বিশেষ বার্তা দিয়েছেন।
শনিবার ফেসবুকে পূর্ণেন্দু লিখেছেন, ‘ক্ষমতার দাপট ও বস্তা বস্তা টাকা ছড়িয়ে যে ক্ষমতায় আসা যায় না, তার জন্য যে রাজনৈতিক ভাবনা চিন্তা লাগে-একথা বিজেপি বাংলায় বড় ধাক্কা খেয়েও বুঝতে পারেনি। বাংলার মন বুঝতে না পেরে তাঁরা ক্ষমতা থেকে অনেক দূরে। এই শিক্ষাটা আমাদেরও মনে রাখতে হবে। ক্ষমতার দম্ভ-ই ওদের পতনের কারণ।’ এর আগে পেগাসাস ইস্যুতেও বিজেপিকে একহাত নেন পূর্ণেন্দু। তিনি লেখেন, ‘বলা হয় বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারত। অথচ ক্ষমতায় থাকা দেশের বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক রীতিনীতির বিন্দুমাত্র ধার ধারে না। পেগাসাস নিয়ে তোলপাড় দেশ। শাসকের হেল দোল নেই। দেশ এর জবাব দেবে।’
আরও পড়ুন: ফোনে আড়ি পাতার জবাব দেবে দেশ : পূর্ণেন্দু বসু
বিজেপি আক্রমণ করা ছাড়াও শনিবারের পোস্টে রাজ্যের শাসকদলের প্রতি বার্তা দিয়েছেন পূর্ণেন্দু। তৃণমূলের প্রতি ঠিক কী বার্তা দিয়েছেন পূর্ণেন্দু? রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যে তৃণমূল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। নির্বাচনের পর মুকুল রায় সহ একাধিক বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। উপনির্বাচনেও নজরকাড়া ফল করেছে জোড়াফুল শিবির। ভোট শতাংশও উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে রাজ্যের শাসকদলের। এর ফলে দলের নেতাদের মধ্যে ক্ষমতার দম্ভ এবং আত্মতুষ্টি চলে আসতে পারে। যা হিতে বিপরীত হতে পারে। সে কারণেই তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা আগেভাগেই দলকে সতর্ক করলেন।