Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeScrollমাধ্যমিকের তৃতীয় দিনে 'ফাঁস' প্রশ্ন, কেন্দ্রে সেই মালদহ
Madhyamik Exam 2024

মাধ্যমিকের তৃতীয় দিনে ‘ফাঁস’ প্রশ্ন, কেন্দ্রে সেই মালদহ

মোট ৮ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে পর্ষদ

Follow Us :

মালদহ: ফস্কা গেরো! বজ্র আঁটুনি! ফাঁস মাধ্যমিকের (Madhyamik Question Paper Leaked) ইতিহাসের প্রশ্নপত্র (History Question Paper)। আজ সোমবার মাধ্যমিকে ছিল ইতিহাস পরীক্ষা। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা মধ্যে সকালে শুরু হলেও মাঝে কাটল তাল। আজও মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র (Madhyamik Question Paper) তুলে সোশ্যাল সাইটে ভাইরালের অভিযোগ। পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করল পর্ষদ। মানিকচক ব্লকের এরাই পুর উচ্চ বিদ্যালয় তৃতীয় দিনের মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam 2024) দিতে আসলে পর্ষদের নির্দেশ মতো পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি বিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে। প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এই পরীক্ষার্থী যুক্ত তাই পর্ষদের নির্দেশ মত পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষ।

প্রশ্ন ফাঁস রুখতে কাজে এল না বোর্ডের বজ্র আঁটুনি। পরীক্ষা শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল ইতিহাসের প্রশ্নপত্র। জানা গিয়েছে, ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মানিকচক ব্লকের গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। তার পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল এনায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। দ্বিতীয় দিনের ইংরেজি পরীক্ষার দিন এনায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার সামনে আসে। এই ঘটনাই যুক্ত মোট ৮ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে পর্ষদ। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে আসে। যেখানে প্রশ্নপত্রে থাকা কিউআর কোড বিকৃত করে সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়ানো হয়। ঘটনাই যথারীতি পর্ষদ তদন্ত চালিয়ে বিকৃত করা কিউআর কোড উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ওই পরীক্ষার্থীরও পরীক্ষা বাতিলের নির্দেশ পর্ষদের তরফে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়। সোমবার তৃতীয় দিনের পরীক্ষা দিতে এই পরীক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসে। এরপর পরীক্ষা শুরুর আগেই এই পরীক্ষার্থীর সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করার পাশাপাশি এডমিট কার্ড বাজেয়াপ্ত করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ।

আরও পড়ুন: HS এর প্রশ্নপত্রে এবার ইউনিক সিরিয়াল নম্বর

এই গোটা ঘটনায় ওই পরীক্ষার্থী ও তার পরিবারের অভিযোগ, দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে দিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। তিনি প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেওয়ার ঘটনাই কোনওভাবেই যুক্ত ছিলেন না। কোন কিছুই তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়নি। তারপর তৃতীয় দিনের পরীক্ষা সোমবারের বিদ্যালয়ে যান। প্রশ্নপত্র তার হাতে দেওয়া হয়। এরপর বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তার এডমিট কার্ড নিয়ে নেন এবং তার পরীক্ষা বাতিল করে দেন প্রশ্নপত্র ফাঁস করার অভিযোগে। কিন্তু তিনি এই প্রশ্নপত্র সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা কোনভাবে যুক্ত ছিল না বলে দাবি ওই পরীক্ষার্থী ও তার পরিবারের। গোটা ঘটনাই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতের দারস্ত হবেন বলে জানিয়েছেন ওই পরীক্ষার্থীর অভিভাবকরা। এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ বাদীউজ জামান, পর্ষদ প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এই ছাত্রীর যোগ পেয়েছে। তাই পর্ষদ নির্দেশ দিয়েছে এই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করার। সে মতোই তার পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।

প্রশ্নপত্র ফাঁস করার ঘটনায় মালদহ জেলারই তিন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। গত তিনদিনের মাধ্যমিক পরীক্ষায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৭ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করল পর্ষদ। কী করে মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র পর্যন্ত ঢুকে গেল ওই তিন পরীক্ষার্থী তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও অন্য খবর দেখুন

RELATED ARTICLES

Most Popular