কলকাতা: ক্ষমতা থাকলে তৃণমূলকে আটকান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফের চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার দুপুরে ভার্চুয়াল সভায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ট্রেন বন্ধ করে, ধরনার অনুমতি না দিয়ে, টাকা আটকে রেখে, ইডি-সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। মনে রাখবেন, দলটার নাম তৃণমূল কংগ্রেস, আর নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেকের আরও হুঁশিয়ারি, দিল্লির ধরনায় একট গরিব মানূষের গায়ে হাত পড়লে দেখে নেব। ইটের বদলে, পাটকেল কী ভাবে মারতে হয়, জানা আছে তৃণমূলের। তিনি বলেন, মারলে আমাকে মারবেন, নেতাদের মারবেন। কিন্তু একটা শ্রমিকের গায়েও যেন হাত না পড়ে। তাঁরা ন্যায্য পাওনার দাবিতে ধরনায় বসতে চলেছেন। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, যত দিন না পর্যন্ত ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনা বাবদ ১৫ হাজার কোটি টাকা আদায় না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত তৃণমূল থামবে না। আন্দোলন চলবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে অভিষেকের চেতাবনি, আগামী দিনে আপনার জন্য তমসাচ্ছন্ন সময় অপেক্ষা করছে। পতন আপনার হবেই।
বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূলে্র ‘দিল্লি চলো’ অভিযান ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে উঠেছে। ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে দলের বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রী এবং নেতারা রাজঘাটে প্রার্থনা সভায় যোগ দেবেন। পরের দিন যন্তর মন্তরে বেলা ১১টা থেকে পাঁচ হাজার জবকার্ড হোল্ডার এবং দলের সর্বস্তরের নেতারা ধরনায় বসবেন বকেয়া টাকা আদায়ের দাবিতে। শনিবার দুপুরে ৫০টি’রও বেশি বাসে চেপে তৃণমূলের লোকজন দিল্লি রওনা হয়ে গিয়েছেন। অভিযানের জন্য তৃণমূল বিশেষ ট্রেন চেয়ে রেলের কাছে আবেদন করেছিল। তার জন্য আগাম ৬১ লক্ষ টাকা দেওয়াও হয়। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় শেষ মুহূর্তে রেল জানিয়ে দেয়, তাঁদের পক্ষে বিশেষ ট্রেন দেওয়া সম্ভব নয়। এর পিছনেও তৃণমূল বিজের রাজনীতি এবং চক্রান্তের সন্ধান পেয়েছে।
রাতেই ইন্ডোর স্টেডিয়ামে জড়ো হওয়া দিল্লিমুখী তৃণমূল সমর্থকদের অভিনন্দন জানাতে যান অভিষেক। সেখানেই তিনি বলেন, বিজেপি সরকার ট্রেন না দিলেও বিকল্প পরিবহণের ব্যবস্থা করে আমরা দিল্লি যাব। ইডি-সিবিআইকে দিয়ে আমাদের আটকানো যাবে না। ক্ষমতা থাকলে আমাদের আটকে দেখাক। প্রসঙ্গত, ৩ অক্টোবর ধরনার দিনই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেককে তলব করেছে ইডি। অভিষেক অবশ্য পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ২ এবং ৩ অক্টোবর তিনি দিল্লিতেই থাকবেন, ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন না। তা নিয়েও চাপানউতোর শুরু হয়েছে।