লখনউ: নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) ডিগবাজির কারণে বিহারে যখন ধাক্কা খেল ইন্ডিয়া জোট (INDIA Allaince), তখন উত্তরপ্রদেশে লোকসভা ভোটে (2024 Lok Sabha Elections) আসন সমঝোতায় অনেকটাই এগিয়ে গেল সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস। বাংলায় তৃণমূল ও দিল্লি-পঞ্জাবে আপ একলা চল নীতি নিয়ে এগোচ্ছে। সেই সময় উত্তরপ্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে ১১টি কংগ্রেসকে ছেড়ে দিল সমাজবাদী পার্টি। শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে এই দাবি করলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব।
অখিলেশ তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের (Uttar Pradesh Congress) সঙ্গে জোট বেঁধে লড়বে সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party)। কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের ১১টি আসনে সমঝোতা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত ইন্ডিয়ার জয়ের পথে আরও একধাপ এগনোর বার্তা। কংগ্রেস এবং এসপি- উভয় দলের সম্মতিতেই আসন-রফা চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। পিছড়ে বর্গ, দলিত এবং অল্প সংখ্যক অর্থাত তফসিলি ও সংখ্যালঘু ( যার পোশাকি নাম পিডিএ) এবং ইন্ডিয়া জোটই এবার ইতিহাস বদলে দেবে বলে দাবি সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমোর।
আরও পড়ুন: মল্লিকার্জুন খাড়্গের ফোন ধরলেন না নীতিশ কুমার
कांग्रेस के साथ 11 मज़बूत सीटों से हमारे सौहार्दपूर्ण गठबंधन की अच्छी शुरुआत हो रही है… ये सिलसिला जीत के समीकरण के साथ और भी आगे बढ़ेगा।
‘इंडिया’ की टीम और ‘पीडीए’ की रणनीति इतिहास बदल देगी।
— Akhilesh Yadav (@yadavakhilesh) January 27, 2024
অন্যদিকে বাংলা ও বিহারে জোটের চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন। বাংলাতে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের সমঝোতা এখনও বিশ বাঁও জলে। ১০-১২টি আসনের দাবি জানিয়েছিল কংগ্রেস । কিন্তু দুটির বেশি আসন ছাড়তে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে দুই দলের মধ্যে প্রায় রোজই আকচাআকচি চলছে। তৃণমূল এই জোট জটিলতার দায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর ঘাড়ে চাপিয়ে রোজ গরম গরম বিবৃতি দিচ্ছে। অধীর অবশ্য দুদিন ধরে নীরবই রয়েছেন। তাঁর হয়ে জবাব দিচ্ছেন দলের অন্য নেতারা। তৃণমূল এখনও বলে চলেছে, তারা একাই লড়াই করবে। বিহারে মহাগঠবন্ধন ছেড়ে আবার বিজেপির হাত ধরতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। সেই অর্থে পাটলিপুত্রে অথৈ জলে জোট।
উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে রয়েছেন জাঠ নেতা জয়ন্ত চৌধুরীর দল আরএলডি। তাদের সমাজবাদী পার্টি সাতটি আসন ছেড়েছে। ২ৃ০১৯ সালে লোকসভা ভোটে সমাজবাদী পার্টি এবং আরএলডি বিএসপির সঙ্গে জোট গড়েছিল। সেবার বিএসপি পায় দশটি, এসপি পায় পাঁচটি এবং জয়ন্তর দল একটিও পায়নি। ২০১৪ সালে একা লড়াই করে এসপি পেয়েছিল পাঁচটি আসন। ২০১৯ সালে আমেথিতে হেরে যান কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। রায়বেরিলিতে জেতেন সনিয়া গান্ধী। ২০১৪ সালে তাঁরা দুজনেই জিতেছিলেন। এই অবস্থায় উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস এখনও বেশ দুর্বল। তবু প্রদেশ কংগ্রেস ১১টি আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে রাজি নয়। শুরুতে তারা আরও বেশি আসন দাবি করেছিল। অখিলেশের দল দশটি ছাড়ারও পক্ষপাতী ছিল না। সেই জট কিছুটা কেটেছে। তবে এই আসন রফাই চূড়ান্ত কি না, তা অখিলেশ স্পষ্ট করেননি। কংগ্রেসের জাতীয় জোট কমিটি সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছে।
আরও অন্য খবর দেখুন