বোলপুর: ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বোলপুর লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থী অসিত মাল ৩ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। তবে অনুব্রত মণ্ডলের গড় বোলপুর পুরসভা এলাকায় ৫ হাজার ৮০৪ ভোটে পিছিয়ে তৃণমূল। কেষ্টর ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ৭৭৯ ও মন্ত্রী চন্দ্রনাথের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ৭ ভোটে এগিয়ে বিজেপি। দুর্নীতি, অনুন্নয়ন, তোলাবাজির বিরুদ্ধে ভোট হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। তৃণমূলের দাবি, সরকারি উন্নয়ন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ব্যর্থ দল।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন। সেই ভোটে বোলপুর পুরসভা এলাকায় প্রায় ১৪ হাজার ভোটে বিজেপির কাছে পরাজিত হয়েছিল তৃণমূল। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির কাছে হারে তৃণমূল। সেই ভোটে তৃণমূলের পরাজয়ের মার্জিন কমে হয়েছিলছিল প্রায় ৭ হাজার।
আরও পড়ুন: মোদির মন্ত্রিসভায় কে কোন মন্ত্রক পেল? দেখে নিন একনজরে
প্রশ্ন উঠছে ? ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের জয়জয়কার। বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্রেও ব্যাপক লিড তৃণমূলের। তা সত্ত্বেও বোলপুর পুরসভা এলাকায় কেন বারবার বিজেপির কাছে তৃণমূলের পরাজয়? বোলপুরে তৃণমূলের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের বাড়ি। বোলপুর পুরসভার বাসিন্দা তৃণমূল বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীও। জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য সুদিপ্ত ঘোষের সহধর্মিনী বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান। তবুও কেন পরাজয় বোলপুর পুরসভা এলাকায় তৃণমূলের ?
বোলপুর শহরের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা তৃণমূল কাউন্সিলর সুকান্ত হাজরার দাবি, রাজ্যের পাশাপাশি বীরভূমের বোলপুর পুরসভা এলাকাতেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে তৃণমূল সরকারের আমলে। তবুও আমরা বিজেপির কাছে পরাজিত। কারণ, মমতাময়ী সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান মানুষের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে পারিনি। তাই আমাদের পরাজয়।
যদিও তৃণমূলের এই তত্ত্ব মানতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপির বোলপুর সংগঠনিক জেলার তপশিলি মোর্চার সভাপতি শিশির চন্দ্র দাসের দাবি, বোলপুর শান্তিনিকেতন শিক্ষিত মানুষদের বসবাস। এখানে তৃণমূলের গুন্ডারাজ চলে। তোলাবাজি, দুর্নীতি, শাসকদলের নেতাদের ঔদ্ধত্য আর অহঙ্কারের বিরুদ্ধে ভোট হয়। তাই তৃণমূলের বোলপুর পুরসভা এলাকায় ভরাডুবি হয়েছে।