কলকাতা: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (C. V. Ananda Bose) হস্তক্ষেপ দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার বিধানসভা থেকে বিজেপি বিধায়করা শুভেন্দুর নেতৃত্বে মিছিল করে রাজভবনে যান। সেই সময় রাজ্যপাল রাজভবনে ছিলেন না। বিধানসভার গেটে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, রাজ্যপাল কলকাতার বাইরে। তাঁর সচিবালয়কে বলে গেলাম, রাজ্যপালকে অবিলম্বে সন্দেশখালিতে যেতে হবে। সেখানে শান্তি ফেরাতে হবে। তাঁকে আরও তৎপর হতে হবে। রাজ্যপালকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিলাম। তার মধ্যে তিনি ব্যবস্থা না নিলে সোমবার আমরা বিজেপি বিধায়করা সন্দেশখালিতে যাব ১৪৪ ধারা ভেঙেই। দেখি, মমতার প্রশাসনের কত ক্ষমতা আমাদের বাধা দেওয়ার। শুভেন্দু বলেন, রাজ্যপাল ব্যবস্থা না নিলে আমরা রাজভবন ঘেরাও করে বসে থাকব।
শুভেন্দু বলেন, সন্দেশখালিতে তফসিলি জাতি, উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের উপর সীমাহীন অত্যাচার চলছে। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। রাজ্যপালকে তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের নির্দেশে ১২ জন আইপিএস অফিসার গত রাত থেকে সন্দেশখালি অবরোধ করে রেখেছেন। শুক্রবার রাতে পুলিশ সেখানে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। নন্দীগ্রামে যে কায়দায় সিপিএম অপারেশন চালিয়েছিল, এখানেও পুলিশের মধ্যে চটি পরা তৃণমূল ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছে। তিনি বলেন, আমি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, জাতীয় মহিলা কমিশন, জাতীয় তফসিলি জাতি, উপজাতি সুরক্ষা কমিশনেও সমস্ত কিছু জানাচ্ছি। ১৪ জন নিরপরাধ গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা সকলেই তফসিল সম্প্রদায়ের। মমতার পুলিশ এবং দল মহিলাদের উপর নারকীয় অত্যাচার চালিয়েছে। বিজেপি এসব মুখ বুজে সহ্য করবে না। দলের যুব মোর্চা, মহিলা মোর্চা, তফসিলি মোর্চা ইতিমধ্যে পথে নেমেছে। আমরা, বিধায়করা সোমবার ১৪৪ ধারা ভেঙে সন্দেশখালিতে যাব।
আরও পড়ুন: বিজেপি নেতৃত্বকে সন্দেশখালি যেতে বাধা পুলিশের
বিজেপি বিধায়করা এদিন সটান রাজভবনের সিঁড়িতে চলে যান হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে। স্লোগান ওঠে, সন্দেশখালি জ্বলছে, রাজ্যপাল নীরব কেন, রাজ্যপাল সন্দেশখালি যাচ্ছেন না কেন। পরে শুভেন্দু বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনের গেটে সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি বলেন, ভাইপো ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে রাজভবনের সামনে সাতদিন ধরে মঞ্চ বেঁধে তামাশা করেছেন। তাঁকে রাজ্যপাল কোনও বাধা দেননি। এরপর সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যপাল ব্যবস্থা না নিলে আমরাও রাজভবনের সিঁড়িতে বসে থাকব। রাজ্যপালকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে গেলাম। রাজ্যপালের সচিবের কাছে বিজেপি বিধায়করা স্মারকলিপিও দেন।
অন্য খবর দেখুন