রানাঘাট: সময়ের মধ্যে শেষ হল না জাতীয় সড়কের কাজ। জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ কাজের (Highway Extension Work) জন্য ধুলো ও ছাই এর আবরণে ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা। শহরের এই দেড় কিলোমিটার রাস্তা মাঝেমধ্যেই বিকল হয়ে পড়ছে বড় যানবাহন। সেই গাড়ি মেরামত করে, যানজট স্বাভাবিক করতে ট্রাফিক পুলিশকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। একদিকে ধুলো অন্য দিকে তীব্র যানজট অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, কবে মিলবে সুরাহা তা স্পষ্ট জানা নেই। যার জেরে অনেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।
দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগকারি গুরুত্বপূর্ণ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে প্রায় ৩ বছর আগে। বড়দিনের আগে অর্থাৎ গত বছর ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যেই রানাঘাটে (Ranaghat Highway Extension) জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শেষ হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ কর্তৃপক্ষ দাবি, অনেক সময় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ছাই মিলছে না। কখনও ট্রাক চালকদের ধর্মঘটের জেরেই কাজে বাধার জন্যই সময়ের আগে শেষ করা যায় নি।
আরও পড়ুন: প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ডুলুং নদীতে চলছে বালি পাচার
অভিযোগ, সেই কাজ এখনও শেষ না হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুযাজন। সূত্রের খবর, সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে আরও বেশি সুবিধাজনক ও মসৃণ করার লক্ষে কেন্দ্রীয় সরকার কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার জন্য শিলিগুড়ি করিডোর এর পরিকল্পনা করে। আর তারই অঙ্গ হিসেবে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের নাম পরিবর্তন করে ১২ নং করে, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু করে। কিন্তু প্রায় ৩ বছরেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও সেই কাজ এখনও শেষ হয়নি। ফলে খোঁড়া রাস্তায় নির্মাণ কাজ চলার কারণে নিত্যদিন যেমন তীব্র যানজটে নাকাল হচ্ছে মানুষজন, তেমনই বাড়ছে পথ দুর্ঘটনার ঘটনা। অভিযোগ, অফিস যাত্রী থেকে কলেজ পড়ুয়া বা অ্যাম্বুলেন্স থেকে পণ্যবাহী গাড়ি, তীব্র যানজটে নাকাল হচ্ছে সর্বস্তরের মানুষ। কবে এই নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে সেই অপেক্ষায় দিন গুনছে মানুষজন। যদিও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি আগামী মাসেই সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে নতুন সড়ক।
আরও অন্য খবর দেখুন