ঝাড়গ্রাম: নদী থেকে দেদার বালি উত্তোলনের (Sand Mining) অভিযোগ! প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিনে দুপুরে গোপীবল্লভপুরের (Gopiballavpur) বেলিয়াবেড়া (Jhargram Belaberya) থানার গোয়ালমারা এলাকার ডুলুং নদী (Dulung River) থেকে চলছে অবৈধ বালি পাচার। দিনের পর দিন নদীর বক্ষ থেকে রমরমিয়ে চলছে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন। রাতের অন্ধকারে ট্রাক্টরে বালি পাচারের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ডুলুং নদী থেকে ট্রাক্টরে চলছে দেদার বালি পাচার। হুঁস নেই প্রশাসনের।
বালি পাচারের খবর এই প্রথম নয়। এর আগেও দেখা গিয়েছে ডুলুং নদী থেকে কিভাবে প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে বালি উত্তোলন হচ্ছে অবৈধভাবে। ফের কলকাতা টিভির ক্যামেরায় উঠে এল সেই ছবি। অবৈধভাবে চলছে বালি উত্তোলনের কাজ। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোর রাত থেকেই ট্রাক্টর দিয়ে নদী বক্ষ থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে বালি। সেই ট্রাক্টরে বালি লোড করে একে একে পাচার করা হচ্ছে মোটা টাকার বিনিময়ে। কে বা কারা করছে সেই বিষয়টি এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: সাইকেল চালিয়ে গ্রামে বিডিও, তার পরে কী হল? জেনে নিন
একাধিক প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বারংবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেআইনি বালি খাদান বন্ধের জন্য এবং বেআইনিভাবে বালি-পাথর পাচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। তারপরও পুলিশ প্রশাসন,ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক থেকে শুরু করে সেচ দফতরের আধিকারিকদের চোখের সামনে এই ধরনের বেআইনি ব্যবসা রীতিমতো প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে প্রশাসনের ভূমিকাকে। এই বিষয়ে গোপীবল্লভপুর ২ নং ব্লকের বিএলআরও সুবীর বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই মুহূর্তে ৪২ নং প্লট শুধু বৈধ রয়েছে। বাকি সব অবৈধ।
আরও অন্য খবর দেখুন