মস্কো: ইউক্রেনে (Ukraine) রাশিয়ার (Russia) সেনা অভিযানের দুবছর পূর্ণ হল। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, এখন ইউক্রেনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ ভূখণ্ড রাশিয়ার দখলে। এই মাসেই আভদিভকা শহর তারা দখল করে ফেলতে পারে। এদিকে ইউক্রেনকে দেওয়া পশ্চিমী বিশ্বের সাহায্য কমে এসেছে। ফলে এগিয়ে রাশিয়াই।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সরকারি টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের ঘোষণা করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইউক্রেনের ৭০টি লক্ষ্যে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। জলপথে, স্থলপথেও আক্রমণ শুরু হয়। রাশিয়া ডনবাস সীমান্ত ছাড়াও বেলারুশে থাকা রুশ ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া গাড়িগুলি ইউক্রেনের মাটিতে ঢুকে পড়েছিল। তবে অল্প ক্ষমতা নিয়েও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি রুখে দাঁড়িয়েছিলেন রুশ সেনার বিরুদ্ধে। তাতেই পুরোপুরি যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: আজ জেলাশাসক-পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক
যুদ্ধের ১০০তম দিনে ইউক্রেন জানিয়েছিল তাঁদের ২০ শতাংশ এলাকা রুশ বাহিনীর দখলে। ২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ডনবাস এলাকাকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তবে গত দুবছরে রাশিয়া পশ্চিমী দুনিয়ার নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে অর্থনীতি সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নেপথ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে নাড়া দিয়েছিল ইউক্রেনের নেটোতে যোগ দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করা। রাশিয়ার হুমকিতে কর্ণপাত করেননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
আরও খবর দেখুন