নয়াদিল্লি: অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল সাংসদ হানার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝাঁ (Lalit jha)। সূত্রের খবর, ঘটনার পর থেকে পলাতক সে। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি নিজেই দিল্লির কর্তব্যপাথ এলাকার থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। তার পর তাঁকে গ্রেফতার (Arrested) করে পুলিশ। ধৃতদের সঙ্গে ললিতকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করবে দিল্লি পুলিশ।
সংসদে রঙিন ধোঁয়া (Parliament Security Breach) ছড়ানোর ঘটনার মূল চক্রী শিক্ষক ললিত ঝায়ের (Lalit Jha) সঙ্গে বঙ্গ-যোগ মিলেছে। ললিত ঝা সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিত এবং বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার (NGO) সঙ্গে জড়িত। কলকাতার বেশ কিছু সামাজিক অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গিয়েছে। বাংলার পুরুলিয়া (Purulia) এবং ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলায় তাঁর বিশাল কর্মকাণ্ড রয়েছে।
হালিশহরের জেটিয়ার বাসিন্দা নীলাক্ষ আইচের (Neelaksh Aich) সঙ্গে ললিত ঝায়ের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ মিলেছে। নীলাক্ষ বিধাননগর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁর মোবাইলেই সংসদে রং-ধোঁয়া ছড়ানোর ঘটনার মূল অভিযুক্ত ললিত ঝা হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিওটা পাঠান। সাম্যবাদী সুভাষ সভা (Samyabadi Subhash Sabha) নামে একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালান নীলাক্ষ। সেই সূত্রেই ললিতের সঙ্গে আলাপ। দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ অফিসাররা এসে এখন কথা বলছেন। ওদের সংস্থা আদিবাসী ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করায় বলে জানিয়েছেন বাবা নিলয় আইচ।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করণে গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসদের ঘটনার পর ললিত প্রথম ফোনটি করেন নীলাক্ষকে। দুপুর ১টা নাগাদ তাঁকেই ভিডিওটা পাঠান। নীলাক্ষ তাঁর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি আর ফোন করতে বারণ করেন। নীলাক্ষ জানান, কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে এক অনুষ্ঠানে এ বছরই ললিতের সঙ্গে পরিচয়। আমাদের সংস্থার বেশিরভাগই কলেজ ছাত্র। তাই আমরা সবসময় ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামে যেতে পারি না। তাই আমরা তাঁকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক করি। উনি যে কোনও সময় অজ পাড়াগাঁয়ে যেতে পারতেন।
আরও অন্য খবর দেখুন