ভাঙড়: ভাঙড়ে (Bhangar) ফিরল চেনা ছবি। ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence) উত্তপ্ত ভাঙড় (Bhangar Post Poll Violence)। তৃণমূল (Trinamool) কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ। তৃণমূল কর্মীদের মারধর ও গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল আইএসএফের (ISF) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙরের উত্তর কাশিপুর থানার মাঝেরহাট এলাকায়। আক্রমণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইএসএফ। তারা পালটা তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাইক বাহিনী দিয়ে এলাকায় অশান্তির অভিযোগ তুলেছে।
মাঝেরহাট এলাকার তৃণমূল কর্মীরা গ্রামের বাইরে একটি পিকনিকে গিয়েছিল রাতে। ফেরার সময় দুজন তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং বাকিদেরকে গ্রামের ঢুকতে বাধা দেওয়ার হয়। রাতভরই চলে অশান্তি। রাস্তায় জমায়েত করে আইএসএফ। আহত কর্মীদের উদ্ধার করে জিরেনগাছা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় উত্তর কাশিপুর থানার সামনে আসে তৃণমূল নেতা লোকমান মোল্লা সহ দলীয় কর্মীরা। সেই সময় থানার সামনে এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ পুলিশের। তৃণমূল নেতা লোকমান মোল্লা সহ মোট দুজনকে থানায় বসিয়ে রাখা হয়। মাজেরহাট এলাকায় অশান্তির খবর পেয়ে উত্তর কাশিপুর থানার পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। ঘটনায় একজনকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে উত্তর কাশিপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: গণনায় পর্যবেক্ষক নিয়োগ অভিষেকের, কোন কোন কেন্দ্রে?
অন্যদিকে ভোটগ্রহণ পর্ব শেষের পরেও অশান্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি। বাড়়িতে ঢুকে তৃণমূলের মহিলা সমর্থককে মারধরের অভিযোগ। মাকে মারধর করতে দেখে বাধা দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয় মেয়েও। অভিযোগ, দুজনকেই বেধড়ক মারধর করা হয়। দুজনেই কুলতলির জামতলার ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় বিজেপি। যদিও গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি, পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
অন্য খবর দেখুন