কলকাতা: ইভটিজিং (Eve teasing) রুখতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court ) ২০১২ সালের গাইডলাইন রাজ্যে চালু হয়েছে কি? রাজ্যের বক্তব্য তলব কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। গাইডলাইনের কোন বিষয়গুলি এখনও চালু করা যায়নি? সেগুলি কতদিনের মধ্যে চালু করা যাবে? জানতে চায় প্রধান বিচারপতির টিএস শিভগননমের ডিভিশন বেঞ্চ। বাস স্টপ ( Bus Stop ), রেলস্টেশন (Train station), মেট্রো স্টেশন ( Metro Station), সিনেমা-থিয়েটার, শপিং মল, পার্ক, সমুদ্র সৈকত, সরকারি পরিবহন ব্যবস্থা, উপাসনা স্থল, ইত্যাদি জায়গায় সাধারণ পোশাকে মহিলা পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে। গুরুত্বপূর্ণ এইসব প্রতিটি জায়গায় সিসিটিভি মোতায়েন ও চালু রাখতে হবে।
উপরোক্ত জায়গাগুলির পরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা থাকবেন, তাঁদেরও উপযুক্ত পদক্ষেপ করার নির্দেশ। কোন অভিযোগ পেলে তৎক্ষণাৎ তা নিকটবর্তী থানা অথবা মহিলা সহায়তা কেন্দ্রে পাঠাতে হবে। চলন্ত যানে এমন ঘটনা ঘটলে সেই গাড়ি দ্রুত নিকটবর্তী থানায় নিয়ে যেতে হবে। এর অন্যথা হলে পারমিট বাতিল হবে। প্রতিটি সরকারকে ছোট ও বড় শহরগুলিতে তিন মাসের মধ্যে ওমেন হেল্পলাইন চালু করতে হবে। এমন অপরাধ থেকে বিরত থাকার জন্য সাবধানবাণী সহ বোর্ড উপরোক্ত প্রতিটি জায়গায় লাগাতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতরত্ন পাচ্ছেন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও, ঘোষণা মোদির
ওই গাইডলাইন জারি হওয়ার পর ১২ বছর কেটে গেলেও কার্যত এখানে কিছুই হয়নি বলে মামলাকারীর অভিযোগ। ফলে ইভটিজিং এর ঘটনা বেড়ে চললেও তার সিংহভাগই প্রকাশ্যে আসছে না। সামাজিক লজ্জা এবং প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় ক্ষতিগ্রস্ত তা প্রকাশ করছেন না। ন্যাশনাল ক্রাইম রিপোর্টিং ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী কলকাতা ভারতের নারীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ শহর। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে না। মামলাকারীর এই অভিযোগ ফেলে দেওয়ার নয়। তাই সরকারকে সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন কার্যকরী করতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে। কোথায় খামতি, তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।
অন্য খবর দেখুন