লন্ডন: ফুটবল খেলা কি নতুন মোড় নিতে চলেছে?
২০২০ ইউরো কাপের (Euro Cup 2024) ফাইনালের কথা মনে করুন। ইংল্যান্ড বনাম ইতালি ম্যাচ তখন ১-১ ড্র চলছে। ইংল্যান্ড চাইছে গোল করে ম্যাচ জিততে আর ইতালি যে কোনওভাবে ডিফেন্স করে খেলা টাইব্রেকার নিয়ে যেতে চাইছে। এই পরিস্থিতিতে দারুণ জায়গায় বল পান ইংল্যান্ডের বুকায়ো সাকা (Bukayo Saka), প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার জর্জিও কিয়েলিনিকে (Giorgio Chiellini) বোকা বানিয়ে ফেলেন। সাকা যদি এগোতে পারতেন নিশ্চিতভাবে ইতালির রক্ষণে বিশাল চাপ পড়ত, গোলও হতে পারত। হয়নি কারণ কিন্তু পিছন থেকে জার্সি টেনে সাকাকে ফেলে দেন কিয়েলিনি।
এই ফাউলে হলুদ কার্ড (Yellow Card) দেখেন কিয়েলিনি। পেশাদার ফুটবলে প্রায় নিশ্চিত গোলের সুযোগ আটকাতে ইচ্ছাকৃত ফাউল করাটা খুবই সাধারণ বিষয়। একে বলে ট্যাকটিক্যাল ফাউল (Tactical Foul)। এর জন্য হলুদ কার্ড দেখা নিয়ে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় কিংবা কোচের বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, হলুদ কার্ড কি আদৌ এই অপরাধের যোগ্য শাস্তি? আবার লাল কার্ড (Red Card) দেখালে লঘু পাপে গুরু দণ্ড হয়ে যাবে। তাহলে?
আরও পড়ুন: তৃতীয় টেস্টের আগে বিরাট আপডেট!
ফুটবলের আইন-কানুন যারা ঠিক করে, সেই ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (IFAB) এক মাঝামাঝি রাস্তা নিতে চলেছেন। এই ধরনের অপরাধে দেখানো হবে নীল কার্ড। নীল কার্ড দেখা ফুটবলারকে ১০ মিনিট মাঠের বাইরে থাকতে হবে। ফুটবলের পরিভাষায় এই শাস্তির নাম ‘সিন বিনস’ (Sin Bins)। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ফুটবলের তৃণমূল স্তরে ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে নীল কার্ড। শোনা যাচ্ছে, ঐতিহ্যবাহী এফএ কাপ (FA Cup) টুর্নামেন্টে এই নিয়মের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। যদি সুফল আসে, চালু হবে সর্বোচ্চ স্তরে।
শুধুমাত্র ট্যাকটিক্যাল ফাউলই নয়, রেফারির সিদ্ধান্তে অতিমাত্রায় অসন্তোষ দেখালে, সময় নষ্ট করলেও দেখতে হবে নীল কার্ড। কোনও খেলোয়াড় যদি এক ম্যাচে দু’বার নীল কার্ড দেখে, কিংবা একটা হলুদ এবং একটা নীল কার্ড দেখে, ওই ম্যাচে আর খেলতে পারবে না। আইএফএবি-র চিফ এগজিকিউটিভ মার্ক বুলিংহ্যাম জানিয়েছেন, নিচুস্তরে নীল কার্ডের প্রয়োগ অত্যন্ত সফল হয়েছে।