কলকাতা: মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) পরিদর্শনে ওয়েবেলের প্রতিনিধি দল (Weibel Delegation)। অরবিন্দ ভবন, হস্টেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটগুলি সহ একাধিক জায়গা তারা পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। ক্যাম্পাস ও হস্টেল সহ একাধিক জায়গায় দ্রুত সিসিটিভি বসানোর কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ওই ছাত্রের বাবা ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রির্পোটে ওই ছাত্রকে শারীরিক, মানসিক, যৌন নির্যাতনের তত্ত্ব উঠে এসেছে। ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সিসিটিভি বসানোর কথা কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হলেও তা কবে বসবে সে নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। সেই অনিশ্চয়তা এবার কাটল। সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরিদর্শনে এল ওয়েবেলের প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই অভিযুক্তদের আড়াল করছে, ফের বিস্ফোরক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন- ‘অরবিন্দ ভবন’ ও মেইন গেটগুলির পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পরিদর্শন করেন তারা। তাদের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তিনি জানিয়েছেন, সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর পাশাপাশি চার অথবা পাঁচ নম্বর গেটের কাছে বা প্রয়োজনে ক্যাম্পাসের ভিতরে কোনও একটি জায়গায় সিসিটিভির কন্ট্রোলরুম তৈরি করা হবে। সেখানে থেকেই চলবে নজরদারি।
সিসিটিভি বসানোর বিষয়ে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। অন্যদিকে উপাচার্য নিজ উদ্যোগে ২০১৫ সাল থেকে প্রায় ৮ বছর অরবিন্দ ভবনের অন্দরে অচল হয়ে থাকা সিসিটিভি গুলো পুনরায় চালু করেছেন। সিসিটিভির পাশাপাশি পড়ুয়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আরও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।