আলিপুরদুয়ার: বিগত তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে ডুয়ার্সের (Dooars) কালচিনি চা বাগান (Kalchini Tea Garden)। আর এই চা বাগান বন্ধের জন্য আলিপুরদুয়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলাকে (John Barla) দায়ী করল শ্রমিক থেকে শুরু করে শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব। বাগান বন্ধের জেরে রোজগার হীন হয়ে পড়েছে সমস্ত চা শ্রমিকরা। শুক্রবার বন্ধ কালচিনি চা বাগানের সামনে জমায়েত হয়ে তারা অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয়। শ্রমিকরা জানান, গত বছর শুরুর দিকে কালচিনি বাগানে অচলাবস্থা দেখা যায়। এরপর সাংসদ জন বারলা নতুন মালিককে বাগানে নিয়ে আসে এবং শ্রমিকদের একাধিক আশ্বাস দেয়। তবে সেই মালিক কিছু মাসের মধ্যেই বাগান বন্ধ করে চলে যান। আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঢেকে দিয়েছে ওই মালিক।
এ বিষয়ে তৃণমূলের চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ওম দাস লোহারা জানান আমরা আশাবাদী ছিলাম যে আমাদের চা বাগানের শ্রমিক থেকে সাংসদ হয়ে মন্ত্রী হয়েছেন সাংসাদ জন বারলা। কালচিনি চা বাগানে যখন শ্রমিকরা আন্দোলন করেছিল তখন হঠাৎ সংসাদ এসে বললেন যে তিনি নতুন মালিক নিয়ে আসবেন। পরবর্তীতে চা বাগানে তিনি নতুন মালিক নিয়ে আসেন কিন্তু সেই নতুন মালিক শ্রমিকদের কাজ করায় তাদের পরিশ্রমের টাকা না দিয়ে বাগান ছেড়ে পালিয়ে যায়। বর্তমানে শ্রমিকরা খুবই কষ্টে দিন যাপন করছে। বাগানের এরূপ অবস্থার দায় সাংসদকে নিতে হবে। চা বাগান থেকে একজন মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তিনি বাগানের শ্রমিকদের জন্য কোনও কাজই করেননি বলেও অভিযোগ তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা ওমদাস লোহারার।
আরও পড়ুন: দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ এলাকারই যুবকের বিরুদ্ধে
এই বিষয়ে কালচিনি চা বাগানের সিটু নেতা রাজেন কামি জানান প্রায় তিন মাস ধরে আমাদের বাগান বন্ধ রয়েছে কিন্তু সরকারের তরফে আমরা কোন সহায়তা পাচ্ছিনা। সম্প্রতি আমাদের এমপি জন বারলা বাগানে নতুন মালিক নিয়ে আসেন। আমাদেরকে বলা হয় পিএফ ও গ্যাচুরিটি টাকা দেওয়া হবে। বাগান ঠিকঠাক চলবে। কেও অনাহারে থাকবে না। কিন্তু মাস চলানোর পর ওই মালিকও নিজের ঝুলি ভরে এখান থেকে পালিয়ে যায়।
অন্য খবর দেখুন