কলকাতা: ডার্বি (Derby) জয়ের পর রীতিমতো জ্বলে উঠেছে লাল-হলুদ শিবির। পড়শি ক্লাব মোহবাগানের (Mohun Bagan) বিরুদ্ধে ফেডারশনের কাছে অভিযোগ জানাল তারা। ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) নিয়ামানুযায়ী, পুরো প্রতিযোগিতায় ৩০ জন ফুটবলারকে খেলাতে পারবে কোনও দল। এবার সেই নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠল বাগান শিবিরের বিরুদ্ধে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে ৩ ম্যাচে ৩৩ জন ফুটবলারকে খেলিয়ে ফেলছেন সবুজ-মেরুন কোচ হুয়ান ফেরান্দো। এই নিয়ে সরকারি ভাবে এআইএফএ (IFA) সভাপতি কল্যাণ চৌবেকে অভিযোগ জানিয়েছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)।
মোহবাগানকে ১-০ গোলে হারোনোর পর লাল-হলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বলেন, “ভারতীয় ফুটবলকে ভালবাসি আমি। সে জন্যেই আবার কাজ করতে এসেছি এখানে। তবে নিয়মের ক্ষেত্রে সব জায়গায় একই নিয়ম কাজে লাগানো হয় না। যা দেখে সত্যিই অবাক হচ্ছি। নিয়ম তো সবার জন্যেই সমান তাই না?” তিনি আরও বলেন, “মোহনবাগান ডুরান্ডের তৃতীয় ম্যাচটি খেলতে নেমেছিল। তার মধ্যে ৩৩ জন ফুটবলারকে খেলিয়ে ফেলেছে ওরা। তবে ডুরান্ডের নিয়ম অনুযায়ী ৩০ জন ফুটবলারকে খেলানো যায় পুরো টুর্নামেন্টে। এক্ষেত্রে ওরা নিয়ম ভেঙেছে।”
আরও পড়ুন: অসুস্থ অভিনেত্রী অপর্ণা সেন
লাল-হলুদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও পঞ্জাব ম্যাচে মোহনবাগান ২৭ জন ফুটবলারকে ব্যবহার করে ফেলেছিল। ডার্বিতে তিন জনকে আরও ব্যবহার করতে পারত। কিন্তু তিনের জায়গায় ৬ জন ফুটবলারকে রোটেট করে খেলানো হয়েছে। যা ডুরান্ডে কাপের নিয়ম ভাঙার মতো কাজ। এই বিষয় নিয়েই আইএফএ-কে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার মরসুমের প্রথম ডার্বি জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। চার বছর পর ডার্বি জেতার স্বাদ পেলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। অন্যদিকে টানা আটটি ডার্বি জিতলেও ন’নম্বর ডার্বি জেতার মাঝে কাঁটা হয়ে দাঁড়ালেন নন্দকুমার। ৬০ মিনিটের মাথায় এল ইস্টবেঙ্গলের গোল, আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই নামল বৃষ্টি। সে তুমুল বৃষ্টি। চার বছর ধরে আটটা ডার্বি হারের পর লাল-হলুদ সমর্থকদের হৃদয়ে যে মেঘ জমা হয়েছিল, সেই মেঘ ভাঙা বৃষ্টি নামল শেষ বাঁশির বাজার সঙ্গে সঙ্গেই। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মাতল আট থেকে আশি।