খেলল হায়দরাবাদ। জিতল বেঙ্গালুরু। এক লাইনে ডুরান্ড সেমিফাইনালের নির্যাস এটাই। বৃহস্পতিবার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে ডুরান্ড সেমিফাইনালে সারাক্ষণ দাপটে খেলেও হেরে গেল হায়দরাবাদ। ম্যাচের ৩১ মিনিটে তাদের স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ওডেই ওনাইনডা একটা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে হেড করে নিজেদের গোল বল ঢুকিয়ে দেন। ডান দিক থেকে প্রবীর দাস সেন্টার করেছিলেন। বলটা ফলো করে ছুটে আসছিলেন রয় কৃষ্ণ। কিন্তু বল তাঁর কাছে পৌছবার আগেই হেড করতে ওঠেন ওডেই। তাঁর সঙ্গেই হেড করতে ওঠেন রয় কৃষ্ণ। কিন্তু বল ওডেইয়ের মাথায় লেগে গোলে ঢুকে যায়। প্রথমে গোলটি রয় কৃষ্ণের নামে দেওয়া হলেও দেখা যায় রয় কৃষ্ণ হেড করতে গিয়ে পোস্টে ধাক্কা খেয়েছেন। তখন গোলটি ওডেইয়ের আত্মঘাতী বলে ধরা হয়। এই গোলেই ম্যাচটা ১-০ জিতে গেল বেঙ্গালুরু। এই প্রথম উঠে গেল ডুরান্ড ফাইনালে।
প্রথমার্দ্ধ তো বটেই শেষ ৪৫ মিনিটও একতরফা খেলা হয়েছে। আই এস এল চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদের বল পসেসন ছিল ৭৪ শতাংশ। তাদের দুর্দান্ত স্ট্রাইকার বার্থেমিউ ওগবেচে বার বার গোলের সন্ধানে ঘুরঘুর করলেও গোল করতে পারেননি। শেষ দিকে একটা বল তিনি গোলে ঠেললেও বেঙ্গালুরু গোলকিপার গুরপ্রীত সিংকে ফাউল করার অপরাধে তা গোল হয়নি। এই সুযোগ ছাড়াও হায়দরাবাদ গোলের সামনে অগুন্তি মুভমেন্ট করলেও আসল কাজটা করতে পারেনি। গুরপ্রীত কয়েকটা বল বাঁচিয়েছেন বটে। কিন্তু বাকিগুলো হায়দরাবাদ ফরোয়ার্ডরা নিজেরাই নষ্ট করেছেন। বেঙ্গালুরুর দুই ভয়ঙ্কর ফরোয়ার্ড রয় কৃষ্ণ এবং সুনীল ছেত্রী এদিন হালে পানি পাননি। বরং সন্দেশ ঝিঙ্গনের নেতৃত্বে বেঙ্গালুরু ডিফেন্স সফল হায়দরাবাদকে গোল করতে না দেওয়ার জন্য। রবিবার বেঙ্গালুরু ফাইনালে খেলবে মুম্বই সিটি এফ সি-র সঙ্গে।