ডুরান্ড কাপের প্রথম দুটি ম্যাচে হতশ্রী পারফরম্যান্স দুই প্রধানের। তার পরেও রবিবারের ডুরান্ড ডার্বির টিকিটের জন্য হাহাকার পড়ে গেছে ময়দানে। এতটাই যে টিকিট না পেয়ে এক দল মোহনবাগান সমর্থক গোষ্ঠ পাল সরণি অবিরোধ করে। সি এ বি ক্লাব হাউসের সামনে সেই অবরোধে বন্ধ হয়ে যায় সব রকমের যানবাহনের চলাচল। পুলিশ এসে অবরোধকারীদের বুঝিয়ে সুজিয়ে অবরোধ তোলে। যারা টিকিট কাটতে এসে টিকিট না পেয়ে অবরোধ করেন তাদের বক্তব্য, শুক্রবার বেলা বারোটায় মোহনবাগান মাঠ থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। টিকিটের দাম ৫০ এবং ১০০ টাকা। কিন্তু মাত্র ১০০ টিকিট বিক্রির পর কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়। বলা হয়, সব টিকিট শেষ। এতেই রেগে যায় সমর্থকরা। শেষ পর্যন্ত তারা রাস্তা অবরোধ করে তাদের প্রতিবাদ জানায়।
আসলে করোনার জন্য গত দু বছর কলকাতায় মোহনবাগান-ইস্ট বেঙ্গল ম্যাচ হয়নি। শেষ ডার্বি সল্ট লেক স্টেডিয়ামে হয়েছিল ২০২০ সালের বিশে ফেব্রুয়ারি। সেই বিচারে আড়াই বছর পর আবার ডার্বি হতে যাচ্ছে কলকাতায়। ডুরান্ড সংগঠকদের জন্য ৬০ হাজার টিকিট বিক্রির অনুমতি দিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। কিন্তু সংগঠকরা বহু দিন আগে থেকেই দর্শকদের জন্য অন লাইনে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করেছে। এবং পর পর দুবার অন লাইনে টিকিট ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আধ ঘণ্টার মধ্যে সব টিকিট শেষ হয়ে গেছে। তাই দুই প্রধানের কাছে বিক্রয়যোগ্য টিকিট খুব কমই পাঠানো হয়েছে। ইস্ট বেঙ্গল মাঠ থেকেও টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে শুক্রবারই। সেখানে লাইন দিয়ে সবাই টিকিট কেনেন। তবে প্রত্যেককে মাত্র একটি করে টিকিট দেওয়া হয়েছে। মোহনবাগান মাঠে সদস্যদের জন্য টিকিট বিক্রি হবে শনিবার। তবে যেভাবে শুক্রবার টিকিট বিক্রি নিয়ে অশান্তি হয়েছে তাতে শনিবারও গণ্ডগোলের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে সার কথা হল, দুই দলের হতশ্রী পারফরম্যান্সের পরেও ডার্বি নিয়ে ময়দানে টিকিটের হাহাকার। সেই সত্তর কিংবা আশির দশকের ডার্বির মতো।