নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ম্যাচের রেশ এখনও রয়ে গেছে লাল-হলুদ সমর্থকদের। সেইজন্যই শনিবারের ইস্টবেঙ্গল-পঞ্জাব এই নিরামিষ ম্যাচেও যুবভারতীতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু ইস্টবেঙ্গল ফ্যান। কিন্তু এদিন ফলাফলের দিক থেকে গত ম্যাচের ফ্ল্যাশব্যাক দেখা গেল না। পঞ্জাব এফসি-র কাছে আটকে গেল কুয়াদ্রাত এন্ড কোম্পানি। ম্যাচের ফলাফল ০-০।
প্রথমার্ধের একদম শুরু থেকেই দু-দলের তরফেই দেখা যায় মুহূর্মুহূ আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ। তবে প্রথমার্ধ যত এগোতে থাকে ততই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে থাকে পঞ্জাব এফসি। বেশ কিছু সুযোগ আসলেও সেটা অবশ্য গোলে রূপান্তরিত করতে ব্যর্থ। ৩৬ মিনিটে জুয়ান মেরার দূরপাল্লার শট ক্রসপিসে লেগে সরে যায়। ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের কাছেও বেশকিছু সুযোগ আসে। কিন্তু তারাও সেটা একইরকমভাবে কাজে লাগাতে ব্যর্থ। ফলস্বরূপ প্রথমার্ধ গোলশূন্য ভাবে শেষ হয়। ৩৭ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের বোরহা হেরেরা। এর ঠিক তিন মিনিট পর হলুদ কার্ড দেখেন পঞ্জাবের নিখিল প্রভু।
আরও পড়ুন: রঞ্জি জয়ের উদ্দেশে অনুশীলন শুরু মনোজ তিওয়ারির
দ্বিতীয়ার্ধেও প্রায় একই ছবি। ৫৬ মিনিটে ডি বক্সের ভিতরে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে পঞ্জাব এফসি। ৬৬ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের সৌভিক চক্রবর্তী। এরপর পাল্টা আক্রমণ শুরু করে লাল-হলুদ ব্রিগেড। কিন্তু অপরদিকে ডিফেন্স ধারালো করে পাঞ্জাব এফসি। ফলে গত ম্যাচে ৫ গোল দিলেও এই ম্যাচে গোলের খাতা খুলতে ব্যর্থ লাল-হলুদ বাহিনী।
বল পজেশনে অবশ্য এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল (৫৯%)। তবে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে এদিন সমানে সমানে টক্কর দেয় পাঞ্জাব এফসি। ম্যাচ শেষে স্কোর লাইন ০-০। ফলস্বরূপ এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল দু’টি দলকে।