ধর্ষণ ও খুনের দায়ে অভিযুক্ত তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডের সাজা সোমবার রদ করল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে তিনজনকে বেকসুর থালাস করার নির্দেশ দেওয়া হয় শীর্ষ আদালতের রায়ে। ২০১২ সালে দিল্লির চাওলা এলাকায় ১৯ বছরের এক তরুণীকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে তিন অভিযুক্ত রবি কুমার, রাহুল আর বিনোদের বিরুদ্ধে। দিল্লির নিম্ন আদালতে ওই মামলায় অভিযোগকারীদের তরফে আইনজীবীরা জানান, দিল্লি থেকে নিহত তরুণীকে অপহরণের পর অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণ করে অত্যন্ত নৃশংসভাবে খুন করে। এরপর ওই তরুণীর দেহটি হরিয়ানার রেওয়ারি জেলার একটি গ্রামে ফেলে রেখে চলে যায় দুষ্কৃতীরা।
ঘটনার পরে প্রথমে একটি অভিযোগ দায়ের হয় দিল্লির নজফগড় থানায়। পুলিশ তদন্ত শুরু করে কিছুদিন পরে হরিয়ানার একটি গ্রাম থেকে নিহত তরুনীর ক্ষতবিক্ষত দেহটি উদ্ধার করে। তদন্তে জানা যায় ধর্ষণের পর ওই তরুণীকে গাড়ির যন্ত্রাংশ সহ নানা ভারী আর ধারাল অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুন করে তিন দুষ্কৃতী।
শুনানির শেষে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লির ওই আদালত তিন দুষ্কৃতীকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা দেয়। এরপর অভিযুক্তরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় একই বছরের অগাস্ট মাসে। সেখানেও ওই তিন দুষ্কৃতীর ফাঁসির সাজা বহাল রাখে উচ্চ আদালত। তাঁদের পর্যবেক্ষণে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি জানিয়ে দেন, হিংস্র শ্বাপদের মত নির্মম ওই দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে নিজেদের শিকারের খোঁজে। তাই এদের বিরুদ্ধে বিরলতম অপরাধের শাস্তির নির্দেশ বহাল রাখে হাইকোর্টে। কিন্তু শীর্ষ আদালত সোমবার তিনজনের ফাঁসির আদেশ খারিজ করে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয়।