কলকাতা: রাজ্যজুড়ে ক্রমশ থাবা চওড়া করছে ডেঙ্গু (Dengue)। প্রায় প্রতিদিনই নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন বহু মানুষ। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে মৃত্যুর খবর। এরই মধ্যে ফের শহরে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ১০ বছরের শিশুর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর (Child) নাম তিথি হালদার (১০)। বাড়ি পাটুলিতে। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে তিথি বালিগঞ্জের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিল। বুধবার সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
গতকালই দক্ষিণ দমদম থেকে আসে ফের মৃত্যুর খবর। দক্ষিণ দমদম পুরসভা ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাঙুর শ্যামাপ্রসাদ কলোনির বাসিন্দা শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (৫৮) মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শ্যামলীদেবী বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। তাঁকে ভর্তি করা হয় উল্টোডাঙার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পরে তাঁর ডেঙ্গি পরীক্ষা করা হলে তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। সোমবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি আতঙ্কের মধ্যেই রাজ্যে কালাজ্বরের হানা, মৃত ১
একইদিনে ঠাকুরপুকুরের আরও এক বাসিন্দার মৃত্যুর খবর মেলে। ঠাকুরপুকুরের ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পরেশ সাউ গত শুক্রবার হাসপাতালে ভর্তি হন। রক্তের নমুনা পরীক্ষায় ডেঙ্গি পজিটিভ রিপোর্ট আসে। সোমবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় তাঁর। এলাকার মানুষ ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছেন, স্থানীয় কাউন্সিলর কোনও কাজ করে না। এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জল জমে রয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থা কিছু নেই। এককথায় বলা যায়, মশার আঁতুঘর হয়ে রয়েছে ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর বাঁচার পাড়া।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে যখন চরম উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেঙ্গি, তখন ডেঙ্গি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চিকিৎসক সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। প্রধান বিচারপতির এজলাসে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন তিনি। আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা। অবিলম্বে বিশিষ্ট চিকিৎসকদের দিয়ে মেডিক্যাল কমিশন গঠন করে নজরদারির ব্যবস্থা করার আর্জি জানানো হয়েছে মামলায়। পাশাপাশি মামলায় আবেদন করা হয়েছে, যত্রতত্র আবর্জনা ও জমা জল পরিষ্কার করার জন্য নির্দেশ দিক আদালত। রক্ত পরীক্ষার জন্য মোবাইল ইউনিট চালু করারও আবেদন জানানো হয়েছে।