উত্তরকাশী: উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) কাজ করতে গিয়ে টানেল ধসে আটকে প্রায় ৪০ জন শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আরামবাগের পুরশুড়ার হরিণাখালির যুবক সৌভিক পাখিরা ও নিমডিঙ্গির যুবক জয়দেব পরামানিক। জয়দেব সার্ভেয়ারের কাজ করেন। জয়দেবের বাবা ও মা বাড়িতে ছিলেন না। তাঁরা আত্মীয় বাড়িতে চলে গেছেন। তবে তার কাকিমা সব কিছু জানেন। তাঁর মেয়েও একই জায়গায় থাকেন। তাঁর জামাই একই কোম্পানিতে কাজ করেন। তাঁর মেয়ে জানিয়েছেন, আপাতত নিরাপদেই আছেন সবাই। উদ্ধারকাজ চলছে। তিনি সকলের সুস্থতা কামনা করেছেন ও সকলেই যাতে ভালোয় ভালোয় বাড়ি ফিরে আসেন সেই কামনা করেছেন। প্রসঙ্গত, জয়দেবের বাবা একটি ছোট্ট চায়ের দোকান চালান।
অন্যদিকে হরিণাখালির বাসিন্দা সৌভিক পাখিরার বাবা অসিত ও মা লক্ষ্মীর চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ, তাঁদের চোখে জল। তাঁরা প্রার্থনা করছেন, ছেলে যেন সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসে। দশ মাস ওখানে কর্মরত সৌভিক। দুর্গাপুজোর ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন ফের লক্ষ্মীপুজোতে কাজে যোগদান করেছেন। সৌভিক ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়েছেন, উত্তরাখণ্ডে ইলেকট্রিক্যাল কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: দীপাবলির জের, আরও বিষাক্ত দিল্লির বাতাস
এক জাতীয় স্তরে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার ভোরে এই ঘটনাটি ঘটে। তবে এখনো হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (NDRF), স্টেট ডিজাস্টার রিলিফ ফোর্স (SDRF) এবং পুলিশ সম্মিলিতভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। রাজ্যের ৩ সহ ৪০ জনই এখনও আটকে রয়েছে। টার্নেলের ভিতরে তাঁদের যাতে শ্বাসকষ্ট না হয় তারজন্য একটি পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি (Pushkar Singh Dhami) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ‘আশা করি সবাই শীঘ্রই উদ্ধার হবেন।’