বারুইপুর: মদ্যপানের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে (Wife) খুন করে দেহ মাটিতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ স্বামীর (Husband) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর (Baruipur) থানা এলাকার শিখরবালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দ্রপালার উত্তর মনসাতলায়। এদিকে, ঘটনা জানাজানি হতেই পলাতক স্বামী। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২০ বছর আগে উত্তর মনসাতলার বাসিন্দা রবীন মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় ইন্দ্রপালারই বাসিন্দা অঞ্জলির। প্রেম করেই বিয়ে হয় তাঁদের। দুই পুত্রসন্তানও আছে। তারা মামার বাড়িতেই থাকে। রবীন বেআইনিভাবে মদ বিক্রি করত। পুলিশের খাতাতেও নাম রয়েছে তার। গত ২০ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হয় সে। তবে, পুজোর আগেই জামিনে মুক্তি পেয়ে যায়। জামিনে মুক্তির পর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে ফের অশান্তি শুরু হয়।
অভিযোগ, মদ্যপানের টাকা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিদিনই ঝামেলা হতো। স্ত্রী এবং সন্তানদের মারধর করত বলেও অভিযোগ। দশমীর দিন শেষবার প্রতিবেশীরা রবীনের বাড়ি চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ পান। তারপর থেকে আর অঞ্জলিকে দেখতে পাননি কেউ। বাপের বাড়ির লোকজনও অঞ্জলির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। দুশ্চিন্তায় রবীনের বাড়িতে আসেন তাঁরা। অঞ্জলি কোথায়, তা রবীনের থেকে জানতে চাওয়া হয়। তার কোনও উত্তর না দেওয়ায় সন্দেহ হয় অঞ্জলির পরিবারের।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুজোয় স্ত্রীকে মেরে পলাতক স্বামী
মেয়ের খোঁজ করতে করতে ছাগল রাখার ঘরে যান অঞ্জলির বাপের বাড়ির লোকজন। তাঁরা দেখেন ছাগল রাখার ঘরের মাটি খোঁড়া হয়েছে। উপরে কাঠ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, সেখানেই পোঁতা রয়েছে অঞ্জলির দেহ। এদিকে, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে এলাকাছাড়া রবীন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস, আইসি সৌম্যজিৎ রায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।