বাঁকুড়া: নিজেদের তফসিলি উপজাতি তালিকাভুক্ত করার দাবিতে কুড়মি (Kurmi) সমাজ যে আন্দোলন শুরু করেছে, তার প্রতিবাদে পাল্টা আন্দোলনে শামিল হল আদিবাসী একতা মঞ্চ (Adivasi Ekata Manch)। সোমবার খাতরায় (Khatra) এক বিশাল সমাবেশে মঞ্চের নেতারা কুড়মি সমাজকে তীব্র আক্রমণ করেন। তাঁরা বলেন, কুড়মি সমাজের ওই আন্দোলনের ফলে প্রকৃত জনজাতির মানুষের ক্ষতি হবে। মঞ্চের নেতাদের অভিযোগ, একটা অদ্ভুত দাবির উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রও রাজ্যের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। প্রসঙ্গত, কুড়মি সমাজের ওই আন্দোলনের ফলে গত চারদিন ধরে জঙ্গলমহলের বিস্তৃন এলাকায় জনজীবন স্তব্ধ হয়ে পড়ে। রেল ও সড়ক অবরোধের দরুন হাজার হাজার মানুষ চারদিন ধরে চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হয়। যদিও রবিবার সেই অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। ১৭ এপ্রিল আদিবাসী একতা মঞ্চ ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলাশাসকের দফতর ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে তাদের নিজস্ব দাবি দাওয়ার ভিত্তিতে।
এদিকে, একটা মঞ্চের অভিযোগ মানতে নারাজ কুড়মি সমাজ। সংগঠনের নেতা রাজেশ মাহাত বলেন, আমারা এসটি, না এসসি সেটা কি আদিবাসী একটা মঞ্চ ঠিক করে দেবে? ওরা কি দেশের সংবিধান রচনা করেছে? আমরা আদিবাসী ঐতিহ্য বহন করে চলেছি যুগের পর যুগ। আদিবাসীদের মধ্যে বিভেদ ছড়ানোর জন্যই ওরা নান অপপ্রচার করছে। রাজেশের আরও দাবি, সারা দেশেই কুড়মিরা ওবিসি বলে পরিচিত। কুড়মিরা নান সাংবিধানিক সুবিধা থেকে দশকের পর দশক বঞ্চিত হয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: Luizinho Faleiro Quits TMC | তৃণমূল ও রাজ্যসভার সদস্যপদে ইস্তফা লুইজিনহো ফেলেইরোর
সোমবার খাতরার সমাবেশ চলাকালীন, আদিবাসী একতা মঞ্চের প্রতিনিধিরা মহকুমাশাসকের অফিসে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে বাধা পান। অভিযোগ, প্রথমে মহকুমাশাসকের দফতর স্মারকলিপি নিতে অস্বীকার করে। এর প্রতিবাদে একটা মঞ্চ খাতড়া-রানিবাঁধ রাজ্য সড়ক প্রায় দেড় ঘন্টা অবরোধ করে রাখে। এর ফলে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে মহকুমাশাসক স্মারকলিপি গ্রহণ করলে অবরোধ উঠে যায়।
মঞ্চের নেতা বিপ্লবী সোরেন বলেন, অ-আদিবাসীদের জোর করে তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি দেওয়া হলে যাঁরা সত্যিকারের আদিবাসী তাঁরা সমস্যার মুখে পড়তে পারেন। এর ফলে নানান ক্ষেত্রে তাঁরা শোষণের শিকার হতে পারেন। এই কারণেই কুড়মি সমাজের ওই দাবির বিরোধিতা করছি।