বীরভূম: প্রায় ১০ ঘণ্টা পর ঘেরাওমুক্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বুধবার রাত আড়াইটে নাগাদ নিজের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান তিনি। বোলপুর থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাস ও শান্তিনিকেতন থানার ওসি পার্থ ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী বিশ্বভারতীর উপাচার্যর দফতরে সেন্ট্রাল অফিসে আসেন। উপাচার্য দফতরের তালা ভেঙে উপাচার্য সহ অন্যান্য আধিকারিকদের ঘেরাও মুক্ত করা হয়। উপাচার্যকে ঘেরাও মুক্ত করার সময় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরি হয়। ঘটনায় বেশ কয়েকজন পড়ুয়া আহত হয়েছে।
পড়ুয়াদের দাবি, বিগত দিনে উপাচার্যের কাজকর্মের প্রতিবাদে যে সব পড়ুয়া আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন, তাঁদের বেছে বেছে নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। কারও থিসিস আটকে দেওয়া হচ্ছে, কারও পরীক্ষা আটকে দেওয়া হয়েছে। এ সবের প্রতিবাদে এদিন তাঁরা কথা বলতে এসেছিলেন। নিরাপত্তাকর্মীরা পড়ুয়াদের বাধা দেন। আন্দোলনকারী ছাত্র শুভ নাথ বলেন, উপাচার্য ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারী বিরোধী মনোভাব পোষণ করেন। তিনি আমাদের দিকে নিরাপত্তারক্ষীদের লেলিয়ে দেন। গুলিও করতে বলেন। এমন ছাত্রঘাতী উপাচার্যকে আমরা চাই না। শুভর দাবি, রক্ষীদের মারে তিনিও গুরুতর জখম হন। তিনি বলেন, এখন উপাচার্যের পেটোয়া কিছু লোক এসেছে। তারা জোর করে ঢুকে ছাত্রদের মারধর করতে পারে।