কলকাতা: কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের ছবিতে জুতো মেরে, কালি মাখিয়ে, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের একাংশের। লোকসভা ভোটের মুখে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। শনিবার বাঁকুড়ার মাচানতলায় রীতিমতো সুভাষের ছবিতে জুতো পেটা করে, মুখে কালি ও রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে বিজেপি কর্মীদের একাংশ। লোকসভা ভোটের মুখে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল ফের প্রকাশ্যে।
মাস কয়েক আগে বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল বিভিন্ন ব্লকের বিজেপি কর্মীদের। এমনকী সুভাষের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছিল বাঁকুড়া শহরের বিজেপি কর্মীদেরও। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ের অন্দরেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তালাবন্দী করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মীদের একাংশ। বিজেপি বিধায়কের মুখেও শোনা গেছে সুভাষকে তোলাবাজ বলতে। এবার লোকসভা ভোটের মুখেও সাংসদের বিরুদ্ধে বিজেপির নীচু তলার কর্মীদের ক্ষোভের বহি:প্রকাশ দেখা গেল।
আরও পড়ুন: সুদীপকে গ্রেফতারের দাবি তুললেন কুণাল
এদিনও দেখা গেল একই চিত্র। বিক্ষোভকারীদের দাবি, সুভাষ করোনার সময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াননি। দলীয় কর্মীরাও তাঁকে ৫ বছর পাশে পাননি। উল্টে দলীয় কর্মীদের একাংশকে তিনি মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছেন। আগামী লোকসভা নির্বাচনে দল তাঁকে প্রার্থী করলে তাঁকে হারিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। লোকসভা ভোটের মুখে এভাবে দলীয় কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। যদিও এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব।
এদিকে বর্ধমানেও দেখা গেল বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ফের বিজেপি নেতাদের নামে পোস্টার বর্ধমান শহর জুড়ে। শুক্রবার শহরের কার্জন গেটের কাছে কয়েকটি জায়গায় বিজেপি নেতাদের নামে পোস্টার দেখা যায়। কে বা কারা এই পোস্টার দিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-১৪)
পোস্টারে দলের জেলা সভাপতি এবং সাংসদের ছবি দিয়ে নানা আপত্তিকর কথা লেখা আছে। ছবি দেওয়া আছে বর্তমান এবং প্রাক্তন কয়েকজন নেতারও। সেখানে লেখা, এরা বর্ধমান বিজেপিকে শেষ করার নেপথ্য নায়ক। জনসংযোগ আছে এমন নেতাদের বেছে নেওয়া হোক। পোস্টারের নীচে ‘সেভ বর্ধমান বিজেপি’ লেখা। এই পোস্টার ছেয়ে গিয়েছে গোটা এলাকা।
বিজেপির জেলা মুখপাত্র ডা: এস আর বন্দ্যোপাধ্য়ায় এ প্রসঙ্গে বলেন, এটা বিজেপির কালচার নয়। ভালো খারাপ বাছাবাছি দল করে না। তবে তৃণমূলেরএসব অভ্যাস আছে। তারা একাজ করে থাকতে পারে। অন্যদিকে তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান, তৃণমূলের এত সময় নেই। ওদের দলে গোষ্ঠীকোন্দল বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। এটা ওদের দলেরই কারও কাজ হতে পারে।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: