কলকাতা: উত্তপ্ত সন্দেশখালি, গোটা রাজ্য জুড়ে সেই অশান্তির আঁচ গনগন করছে। এরইমধ্যে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) সংক্রান্ত আদালতের স্বতঃপ্রণোদিক মামলায় প্রধান বিচারপতি টি এস শিভগননম বলেন, কেউ শাহজাহানকে রক্ষা করছে কি না, আমাদের জানা নেই। না হলে এতদিন হয়ে গেল, তবু কেন তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারছে না। তিনি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তাঁর তো মানুষের জন্য অনেক কিছু করা উচিত। তারপরই প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিতে পারি। ইডি, পুলিশ সকলের সামনে তিনি বলুন, আমি এসবের জন্য দায়ী নয়।
প্রধান বিচারপতি টি এস শিভগননম (Justice T. S. Sivagnanam) এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার বলে, গোটা ঘটনার জন্য একজন ব্যক্তিই দায়ী। যাঁর জন্য এই সব ঘটনা ঘটছে, রাজ্য সরকার তাঁকে সমর্থন করতে পারে না। তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, মানুষের প্রতি তিনি কর্তব্য পালন করেছেন বলে মনে হয় না। যদি পুলিশ তাঁকে ধরতে না পারে তাহলে এটা মনে করতে হবে যে তিনি রাজ্যের বাইরে আছেন। বেঞ্চ আরও বলে, মূল অভিযুক্ত যদি ঘুরে বেড়ান তাহলে আর ১৪৪ ধারা জারি করে কী হবে ? সাধারণ মানুষের হয়রানি বাড়বে।
আরও পড়ুন: মমতাও শাহজাহানকে বাঁচাতে পারবেন না, হুঙ্কার শুভেন্দুর
এদিকে এদিনই ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সন্দেশখালি যেতে সমস্যা নেই। শর্তসাপেক্ষে তিনি যেতেই পারেন। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) একক বেঞ্চ ১৪৪ ধারা জারির উপর স্থগিতাদেশ দেন। রাজ্য সরকার তার বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। বেঞ্চ একক বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখে। তার আগেই রাজ্য প্রশাসন সন্দেশখালি ঢোকার মুখে পাঁচটি ফেরিঘাটে ১৪৪ ধারা জারি করে। শুভেন্দু ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশমতো সন্দেশখালি যান।
আরও খবর দেখুন