কলকাতা: নির্বাচনের শেষ দিনে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। দফায় দফায় তৃণমূল-বিজেপির (Tmc Bjp Clash) সংঘর্ষ বাধে। রক্তও ঝড়েছে। ভোটের শেষলগ্ন রীতিমতো রণক্ষের চেহারা নেয় সন্দেশখালির বিস্তীর্ণ এলাকা। টায়ার জ্বালিয়ে গাছের গুড়ি ফেলে পথ অবরোধে বসে সাধারণ মানুষ। উত্তেজিত জনতাকে সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস, লাঠির্চাজ করে পুলিশ। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Anand Bose)।
সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে রিপোর্ট দিতে বললেন রাজ্যপাল। সংবিধান এর ১৬৬(৩) ধারা প্রয়োগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে রিপোর্ট চাইলেন বোস। শুধু সন্দেশখালির পাশাপাশি সপ্তম দফার ভোটে যে সব কেন্দ্রে হিংসার ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। মহিলাদের উপর যে অত্যাচার হয়েছে তা নিন্দনীয় বিবৃতি রাজভবন-এর।
আরও পড়ুন: আগামী মঙ্গলবার আমরা সবুজ আবির খেলব, নির্বাচনের শেষে ঘোষণা তৃণমূলের
শুক্রবার রাত থেকেই সন্দেশখালিতে ভোটের উত্তাপ ছড়িয়েছিল। অভিযোগ, বেড়মজুর এলাকায় ভোটের আগের রাতে পুলিশ ঢুকে পড়েছিল। তারা কয়েক জনকে আটকও করে। শনিবার সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সন্দেশখালির বিস্তীর্ণ এলাকা। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বিরোধীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ আনে শাসকদল।সন্দেশখালিতে তৃণমূল সমর্থকদের বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনায় আটক করা হয়ে এক ব্যক্তিকে। তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে (Tmc Bjp Clash) ৫ বিজেপি কর্মীকে আটক করে পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের মুক্তির দাবিতে বয়ারমারির বাসন্তী সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধে শামিল হন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। বিজেপির অভিযোগ, এলাকায় গুলি চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগও করেছেন বয়ারমারির বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র (Rekha Patra)। পুলিশের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন রেখা। অভিযোগ, উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করে। উত্তেজিত জনতাকে সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস, লাঠির্চাজ করে পুলিশ।
অন্য খবর দেখুন