বাঁকুড়া: পাকাধানে পোকার আক্রমণ নাকি রোগ কিছুই বুঝতে পারছেন না কৃষকেরা। এদিকে প্রতিদিন বিঘের পর বিঘে জমির ধান শুকিয়ে পরিণত হচ্ছে আখড়ায়। চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে বাঁকুড়ার-বিষ্ণুপুর ব্লকের লায়েকবাঁধের বড় অংশের কৃষকদের। এত বড় ক্ষতির পরে এখন ঋন ধার ও মহাজনদের টাকা পরিষোধ করবেন কীভাবে তা ভেবে পারছেন না কৃষকেরা। এই পরিস্থিতিতে সরকারি সহযোগিতার দাবি তুলেছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের লায়েকবাঁধ গ্রামের একটা বড় অংশের কৃষকেরা এখন বড় ক্ষতির মুখে। গ্রামের প্রায় ৪ হাজার একর জমির মধ্যে ৮০ শতাংশ ধানজমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে দাবি এলাকার কৃষকদের। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের দাবি, ধান কাটার সময় জমির ধান শুকিয়ে ধান পরিণত হচ্ছে আখড়ায়। ধান গাছ ও ঝলসে শুকিয়ে যাচ্ছে নিমেশে। পোকার আক্রমণ না রোগ, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এমন সমস্যা আগে কখনও সম্মুখীন হননি তাঁরা। হটাৎ করে এই সমস্যায় ধানের ক্ষতিতে এখন বড় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। শুধু লায়েকবাঁধ এলাকা নয় আশেপাশের গ্রাম অর্জুনপুর, কাউবাসা এলাকার একটা অংশের কৃষকরাও একই সমস্যায় জর্জরিত। এখন কীভাবে ঋণ শোধ করবেন, কীভাবে শীতের চাষ শুরু করবে, তা নিয়ে এখন মাথায় হাত কৃষকদের।
আরও পড়ুন: যত আক্রান্ত হব, তত হৃদয়ে জায়গা পাব, সিবিআই নিয়ে ফিরহাদ
কৃষকদের মতে, খবর পেয়ে এলাকা পরিদর্শনে যায় কৃষি দফতর। তাঁদের কাছেও পরিষ্কার নয় ওই জমিতে এই ক্ষতি পোকার কারণে না রোগের কারনে। এদিকে পাকা ধানে বড় ক্ষতির মুখে পড়ে আতংকিত এলাকার কৃষকরা। এখন সরকারি সুযোগ-সুবিধার আশায় বসে ক্ষতিগ্রস্থ চাষীরা। এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি জেলা কৃষি দফতরের তরফে।
কৃষি দফতর সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বাদামি শোষক পোকার আক্রমণে ধানের এই ক্ষতি হয়েছে। কৃষি দফতর পুরো বিষয় খতিয়ে দেখছে এবং বীমার টাকা ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা যাতে দ্রুত পেয়ে যান সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানালেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ।