Placeholder canvas
Homeরাজ্যপ্রলোভন ও পরে ধর্মীয় ভয় দেখিয়ে প্রতারণা প্রায় তিন লক্ষ টাকা

প্রলোভন ও পরে ধর্মীয় ভয় দেখিয়ে প্রতারণা প্রায় তিন লক্ষ টাকা

বাঁকুড়া: জিনের নাম করে ফোন করে সাত ঘড়া মোহরের প্রলোভন ও পরে ধর্মীয় ভয় দেখিয়ে প্রতারণা প্রায় তিন লক্ষ টাকা। সব খুইয়ে এখন সর্বস্বান্ত বাঁকুড়ার রাজমিস্ত্রি। জিন পরিচয় দিয়ে গভীর রাতে ফোন এক ব্যাক্তিকে। ফোনে ওই ব্যাক্তিকে সাত ঘড়া মোহর মনি মানিক্যের প্রলোভন দেখানো হয়। পরে ধর্মীয় ভয় দেখিয়ে নানান দোষ কাটানোর পরামর্শ। পরে সেই দোষ কাটাতে প্রথমে নানান নিয়ম পালন পরে ধাপে ধাপে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা পাঠিয়ে প্রতারনার শিকার হলেন ওই ব্যাক্তি। সর্বস্বান্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত প্রতারিত পেশায় রাজমিস্ত্রী ওই ব্যাক্তি হাজির হলেন বাঁকুড়া সাইবার ক্রাইম থানায়। ঘটনা বাঁকুড়ার ওন্দা থানার শ্যামনগর গ্রামের।

ওন্দা ব্লকের শ্যামনগর গ্রামের পেশায় রাজমিস্ত্রী আমিনুদ্দিন মণ্ডল। ধর্মপ্রাণ ওই ব্যাক্তির মোবাইলে অক্টোবরের শেষ দিকে গভীর রাতে একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোন ধরতেই ফোনের অপর প্রান্তের ব্যাক্তি নিজেকে জিন ( অশরীরী) হিসাবে পরিচয় দিয়ে আমিনুদ্দিন কে জানায় আল্লাহর নির্দেশে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একটি বিশেষ জায়গায় মনি মানিক্য, হিরে, জহরত ও সোনা দানা ভর্তি সাত ঘড়া ধন রাখা আছে। আল্লাহর নির্দেশে বাদশার নেতৃত্বে তিন হাজার তিনশো পয়ষট্টি জন জিন আল্লাহর সেই ধন সম্পদ পাহারা দিচ্ছে। সম্প্রতি এলাকাটি অপবিত্র করে দিচ্ছে একদল লোক। তাই আল্লাহর নির্দেশ দ্রুত সেই সম্পদ সরিয়ে তা তুলে দিতে হবে কোনো ধর্মপ্রাণ মানুষের হাতে। সেক্ষেত্রে ধর্মপ্রাণ মানুষ হিসাবে আল্লাহ ওন্দার পেশায় রাজমিস্ত্রি আমিনুদ্দিন মণ্ডলকে নির্বাচন করেছেন। ফোনে এমন প্রস্তাব শুনে হকচকিয়ে যান আমিনুদ্দিন। এরপর থেকে প্রায়শ গভীর রাতেই ফোন আসতে শুরু করে আমিনুদ্দিনের কাছে।

শেষমেশ এই কথা বিশ্বাস করেও ফেলে আমিনুদ্দিন। এরপর জিন নির্দিষ্ট একটি দিনে সেই ধন সম্পদ আমিনুদ্দিনের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথাও জানায়। শেষ মুহুর্তে জিন জানায় আমিনুদ্দিনের বাড়িতে বাস্তু দোষ থাকায় সেই সম্পদ এই মুহুর্তে পৌঁছানো যাচ্ছে না। বাস্তু দোষ কাটাতে আমিনুদ্দিনকে একের পর এক নির্দেশ পালন করতেও বলা হয়। দিনের পর দিন সেই নির্দেশ মেনেই নানান রীতি ও নিয়ম পালনের কাজও শুরু করে দেয় আমিনুদ্দিন। এরপর নানান দোষ সম্পূর্ন মুক্ত করতে অনলাইনে টাকা চাইতে থাকে জিন। দেখানো হয় ধর্মের ভয়ও। আমিনুদ্দিনের দাবী প্রথমে জিনের প্রলোভনে পা দিয়ে এবং পরে ভয়ে ধার দেনা করে ধাপে ধাপে কখনো অনলাইনে আবার কখনো বিভিন্ন ওয়ালেটের মাধ্যমে জিনের কাছে মোট ২ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫০০ টাকা পাঠায় আমিনুদ্দিন। এরপর আমিনুদ্দিন বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপরই বাঁকুড়া সাইবার থানায় দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন আমিনুদ্দিন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments